বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বিগত কয়েকমাসে শহরের বেশ কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ চোরাই সোনা উদ্ধার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তদন্তকারী অফিসাররা জানান, কলকাতাকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেই কারণে এ রাজ্যের প্রতি বিশেষ নজর দিয়েছে ডিআরআই। সূত্র মারফত তাদের কাছে খবর আসে, উত্তরপ্রদেশ থেকে চার যুবক কলকাতায় এসেছে। তারা এখান থেকে সোনা নিয়ে যোগীর রাজ্যে যাবে। তাদের সম্পর্কে খোঁজখবর করতে গিয়ে জানা যায়, তারা মহাত্মা গান্ধী রোডের একটি হোটেলে এসে উঠেছে। সোনা চোরাকারবারে যুক্ত ব্যক্তিদের মোহবাইল ফোনের নম্বর জোগাড় করা হয়। তা থেকেই তাদের অবস্থান চিহ্নিত করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা হানা দেন ওই হোটেলে। তাদের ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে কিছু না মেলায় পড়ে থাকা জুতো নিয়ে সন্দেহ জাগে। দেখা যায়, জুতোতেই রাখা আছে এই সোনা। উদ্ধার হয় প্রায় ছ’কেজি সোনার বাট। যার বাজারমূল্য আনুমানিক দু’কোটি টাকা বলেই জানা গিয়েছে।
তদন্তে নেমে অফিসাররা জানতে পেরেছেন, মায়ানমার সীমান্ত দিয়ে এই সোনা ভারতে ঢোকানো হয়। উত্তর-পূর্ব ভারতের এক এজেন্ট তা কলকাতায় নিয়ে আসে। ওই কেরিয়ারই অভিযুক্তদের কাছে সোনা দিয়ে যায়। তারা তা উত্তরপ্রদেশের এক ব্যবসায়ীর হাতে তুলে দিত। তবে প্রথমবার সোনা নিতে তারা এ রাজ্যে আসেনি। এর আগেও বহুবার এখান থেকে সোনা নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছে। ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, স্লিপার সেল তৈরি করে এই সোনা পাচার চলছে। উত্তর-পূর্ব ভারতের একাধিক ব্যক্তি এই সোনা পাচারের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। তার মধ্যে একটি গ্যাংয়ের মাথার খোঁজ পেয়েছে ডিআরআই। মূল চাঁই সহ আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বক্তব্য, কলকাতা দিয়ে সোনা উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে পাঠানো হচ্ছে। বিগত কয়েকমাসে এই গ্যাংয়ের সদস্যরা বিপুল পরিমাণ সোনা একাধিক জায়গায় পাঠিয়েছে। যারা কিনছে তাদের অধিকাংশই জুয়েলারি কারবারে জড়িত বলে ডিআরআই সূত্রে খবর। কোনও রকম শুল্ক ছাড়াই কম দামে তারা তা কিনছে। তাতে বিপুল অঙ্কের লাভ থাকছে। এই ব্যবসায়ীদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে।