কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বনগাঁ পুরসভার ১১ জন তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলার খোদ দলের চেয়ারম্যান শংকর আঢ্যের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব চেয়ে মহকুমা শাসকের কাছে লিখিত আবেদন জমা দিয়েছিলেন। তারপরই হইচই ছড়িয়ে পড়ে। তার রেশ কাটতে না কাটতে পরদিন অর্থাৎ গত শনিবার বনগাঁ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানসহ আরও তিনজন কাউন্সিলার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব চেয়ে মহকুমা শাসকের কাছে চিঠি দেন। ফলে, গত দু’দিনে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার জন্য ১৪ জন কাউন্সিলার আবেদন করে বসেন। তারপরই দলীয় নেতৃত্বও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। প্রাথমিকভাবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করলেও কোনও ফল হয়নি।
প্রসঙ্গত, সদ্যসমাপ্ত ভোটে বনগাঁ লোকসভায় শোচনীয় পরাজয় হয়েছে তৃণমূলের। একমাত্র স্বরূপনগর বাদে ছ’টি বিধানসভাতেই গোহারা হেরেছে তৃণমূল। এমনকী, মতুয়া ভোটব্যাঙ্কও ধরে রাখতে পারেনি শাসকদল। এই অবস্থায় বনগাঁ পুরসভার এই রকম ডামাডোল পরিস্থিতি নিয়ে দলীয় নেতৃত্ব অস্বস্তির মুখে পড়েছে। তাই বুধবার বারাসতে দু’পক্ষ অর্থাৎ যাঁরা অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে আবেদন করেছেন সেই কাউন্সিলার এবং পুরসভার চেয়ারম্যানকে নিয়ে বৈঠক করে জেলা তৃণমূল। সেখানে জেলা সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, দলের কার্যকরী সভাপতি নারায়ণ গোস্বামী, পর্যবেক্ষক নির্মল ঘোষ, বনগাঁর বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
দলীয় সূত্রে যানা গিয়েছে, বৈঠকে অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে আবেদনকারী কাউন্সিলাররা দলীয় নেতৃত্বকে জানান, তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে অন্য দলে যাবেন না। তাঁরা তৃণমূলেই থাকছেন। তাঁরা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চাইছেন। চেয়ারম্যানও দলীয় নেতৃত্বকে বলেন, চার বছর দু’মাস এই বোর্ডে তিনি চেয়ারম্যান রয়েছেন। সবাইকে সঙ্গে নিয়েই চলছেন। বৈঠক শেষে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, আমরা এদিন দু’পক্ষকে ডেকেছিলাম। দু’পক্ষের বক্তব্যই শুনেছি। সেই রিপোর্ট রাজ্য নেতৃত্ব ও পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে জানাব। রাজ্য নেতৃত্বই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।