পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এনআরএসে হেনস্তা ও মারধরের ঘটনার প্রতিবাদে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে চিকিৎসকরা রাজ্যুজুড়ে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে চেম্বার ও আউটডোর বন্ধ রাখার ডাক দেয়। ওই ঘটনাকে সমর্থন করেন হুগলি জেলা সদর হাসপাতাল, মহকুমা হাসপাতাল ও উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসকরাও। কিন্তু আউটডোর খোলার নির্দিষ্ট সময়ের আগেই অন্যান্য দিনের মতো চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতালের টিকিট কাউন্টারে ভিড় করেন কয়েকশো মানুষ। কিন্তু টিকিট কাটতে গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন কর্মবিরতির জন্য চিকিৎসকরা রোগী দেখবেন না। ফলে তাঁরা কিছুটা হতাশ হয়ে পড়েন। ইমারজেন্সিতে গিয়ে দূর থেকে আসা বহু রোগী চিকিৎসকদের দেখার জন্য অনুরোধ করেন। এরপরেই এদিন আউটডোরের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকেরা মানবিকতার খাতিরে ইমারজেন্সির কাছেই চেয়ার-টেবিল পেতে বসে রোগী দেখতে শুরু করেন।
চুঁচুড়া সদর হাসপাতালের চিকিৎসক প্রশান্ত সামন্ত বলেন, এনআরএসে যে ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত নিন্দাজনক। তাই ওই ঘটনার প্রতিবাদ হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু কয়েক জনের ভুলের জন্য সমস্ত রোগীকে পরিষেবা থেকে বঞ্চিত করাটা যুক্তিযুক্ত নয়। তাই প্রতিবাদ হিসাবে আমরা সরকারি আউটডোর বন্ধ রেখেই মানুষকে পরিষেবা দিয়েছি।
অন্যদিকে, শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতাল ও উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা এদিন সকাল থেকেই হাতে কালো ব্যাজ লাগিয়ে আউটডোরে আসা রোগীদের পরিষেবা দেন। উত্তরপাড়ার বিধায়ক তথা এই দুই হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান প্রবীর ঘোষালও সকাল থেকে চিকিৎসা ব্যবস্থার তদারকি করেন। জেলার প্রধান হাসপাতালগুলির মধ্যে ব্যতিক্রম শুধু চন্দননগর মহকুমা হাসপাতাল। এখানে ইমারজেন্সি বিভাগ চালু থাকলেও আউটডোর বন্ধই ছিল। রোগীদের বিপদে না ফেলে চিকিৎসকদের এই প্রতিবাদকে স্বাগত জানিয়েছেন রোগীরাও। জয়ন্ত ঘোষ নামে বলাগড় থেকে আসা এক রোগীর আত্মীয় বলেন, এখানে এসে কলকাতার হাসপাতালের যে ঘটনার কথা শুনলাম তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। জয়ন্তবাবু বলেন, চিকিৎসকরা সবসময় রোগীকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, মানুষ মাত্রই ভুল হয় কোনও কারণে চিকিৎসকদেরও ভুল হতে পারে। কিন্তু তার জন্য হাসপাতালে ঢুকে মারধর করাটা কখনোই উচিত নয়।
পোলবা থেকে আসা সুভাষ দাস নামে এক রোগীর আত্মীয় বলেন, যে মারা গিয়েছে তাকে তো আর ফিরিয়ে আনা যাবে না। তার জন্য চিকিৎসকের ভুল হলে আইনের মাধ্যমে শাস্তির ব্যবস্থা করা যায়। কিন্তু কয়েকজনের গাজোয়ারির জন্য আজ রাজ্যের কয়েক কোটি মানুষ সমস্যায় পড়েছেন।