গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
পুরসভা সূত্রে আরও জানানো হয়েছে, সম্প্রতি ওই বেসরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে ৩৪ নং ওয়ার্ডে এরকম একটি প্রকল্প করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে পুরসভার পক্ষ থেকে এই প্রকল্পের বিষয়ে সম্মতিও জানানো হয়েছে। সেই মতো খুব শীঘ্রই এই প্রকল্পের কাজ শুরু করা হবে বলে পুরসভা জানিয়েছে। তবে এই প্রকল্পের জায়গাটা কোথায় তৈরি করা হবে? সেবিষয়ে সংস্থা এবং পুরসভার পক্ষ থেকে যৌথ পরিদর্শন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, ইস্টার্ন ড্রেনেজ ক্যানাল পাড়ে একটি জায়গায় এই প্রকল্পটি তৈরি করা হবে।
কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হওয়া এই প্রকল্প থেকে ভবিষ্যতে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে তা খাল পাড়ের রাস্তার আলো জ্বালাতে সহায়তা করবে বলে পুরসভার পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে। এতে ওই ওয়ার্ডে বিদ্যুৎ জ্বালাতে পুরসভার যে আর্থিক খরচ হয়, তা অনেকটাই কমবে বলে পুরসভা মনে করছে। প্রকল্পটি সফল হলে সল্টলেকের প্রতিটি ওয়ার্ড এবং রাজারহাটেরও বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে ভবিষ্যতে এরকম জঞ্জাল থেকে বিদ্যুৎ তৈরি করে আলো জ্বালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হবে। দেবাশিসবাবু জানান, আপাতত পুরসভার পক্ষ থেকে কঠিন বর্জ্য মল্লার ভেড়িতে ফেলা হয়। কিন্তু, এই প্রকল্প প্রতিটি ওয়ার্ডে চালু করা সম্ভব হলে মল্লার ভেড়ির চাপ অনেকটাই কমবে বলে আশা করা যায়। সেক্ষেত্রে পুরসভার কঠিন বর্জ্যের বিকল্প ব্যবহারের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হবে বলেই তিনি আশাবাদী।
পুরসভা সূত্রে আরও জানানো হয়েছে, আপাতত ৩৪ নং ওয়ার্ডের বর্জ্যকে নিয়েই এই প্রকল্প সফল করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তবে প্রয়োজন হলে, অন্য ওয়ার্ড থেকেও জঞ্জাল এই প্রকল্পে পাঠানো হবে। পুরসভার জঞ্জাল অপসারণ বিভাগের এক কর্তা জানান, আপাতত জঞ্জাল থেকে যে বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদিত হবে তা দিয়ে রাস্তার আলো জ্বালানো হবে। তবে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ শক্তি উৎপাদিত হলে, তা কীভাবে সংগ্রহ করা যায়, সেবিষয়েও পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। এবিষয়ে প্রযুক্তিগত বিশারদ সংস্থার সঙ্গেও কথা বলা হচ্ছে। অতিরিক্ত বিদ্যুৎ পাওয়া গেলে, রাস্তার আলো ছাড়াও ভবিষ্যতে পুরসভার সরকারি ভবনগুলিতেও তা ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে পুরসভা জানিয়েছে।