পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কলেজ স্ট্রিটের এই অনুষ্ঠানে কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, তার জন্য পুলিসি নিরাপত্তা ছিল চোখে পড়ার মতো। এমনকী হিন্দু হস্টেলের পিছনে বিজেপি অফিস যাওয়ার সরু গলির মুখেও গার্ড রেল দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছিল। ফুটপাতগুলি ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়। সেসবের মধ্যেই যেভাবে হিন্দু স্কুলের ছেলেরা ওইরকম স্লোগান দিয়ে বসল, তাতে বেশ অবাকই হয়েছেন পুলিসকর্মীরা। মুখ্যমন্ত্রীর যাত্রাপথে যাতে এমন ধ্বনি না দেওয়া হয়, তার জন্য পুলিসের তরফে কয়েকজনকে স্কুলে পাঠানো হয়। যে সব ক্লাস থেকে এই স্লোগান শোনা যায়, সেই ক্লাসের রাস্তার ধারে থাকা জানালা বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রতিটি তলে একজন করে পুলিসকর্মীকেও মোতায়েন রাখা হয়।
বেলা আড়াইটের পর যখন হেয়ার স্কুল থেকে মিছিল শুরু হয়, কলেজ স্ট্রিটে তখন কয়েকশো পুলিস মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর আশপাশে ঘিরে রেখেছেন। একদল নজর রাখছে রাস্তার ভিড়ের দিকে। আরেক দল মিছিলে। দড়ি দিয়ে রাস্তার দু’ধরে ব্যারিকেড করে রাখা হয়। মিছিলে বিশিষ্টজনেরা ছাড়াও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বহু সমর্থকও পা মেলান। কলেজ স্ট্রিট চারমাথা পেরিয়ে বাটা মোড়ের কাছে ফুটপাত থেকে আচমকা জয় শ্রীরাম ধ্বনি উঠল। তার মোকাবিলা করতে সঙ্গে সঙ্গে জয় হিন্দ, জয় বাংলা বলে জোর স্লোগান তোলে টিএমসিপি। যদিও তারপর আর এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। কিন্তু কোনও ঝুঁকি না নিয়ে গোটা রাস্তাই জয় হিন্দ স্লোগান দিতে দিতে এগয় টিএমসিপি। তবে মিনিট কুড়ির যাত্রাপথে রাস্তার দু’ধারে সেরকম লোকজনের জমায়েত ছিল না। নিরাপত্তার কারণেই পুলিস সেভাবে কাউকে দাঁড়াতেই দেয়নি বলে খবর।
কলেজের ভিতরে ঢুকে আগে আবক্ষ মূর্তি পুনঃস্থাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে কলেজের বাইরে পূর্ণাবয়ব মূর্তির উন্মোচন করেন তিনি। তবে এই অনুষ্ঠানে এদিন ব্রাত্যই থাকলেন কলেজ শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, কলেজের অনুষ্ঠানে ছ’জন থাকতে পারবেন বলে সরকারি তরফে জানানো হয়। তাই অধ্যাপকদের থাকতে বারণ করা হয়। এ প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ গৌতম কুণ্ডুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। আগের ভাঙা মূর্তি সংরক্ষণ করা এবং তিনটি কলেজ নিয়ে একটি মিউজিয়াম হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।