রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
কলকাতা পুরসভার তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে পুর প্রশাসনের অধীনে মোট ২৬৩টি বিদ্যালয় রয়েছে। সর্বশিক্ষা মিশনের আওতায় থাকা ১০০টি বিদ্যালয় পুরসভার অধীনে চলে। সবমিলিয়ে প্রায় ৩০ হাজার পড়ুয়া রয়েছে। বাংলা মাধ্যমের বিদ্যালয় ১৫৪টি, হিন্দি মাধ্যমের ৪৬টি, উর্দু মাধ্যমের ৫৬টি, বাংলা ও উর্দু মিশ্র মাধ্যমের ৫টি এবং হিন্দি ও উর্দু মিশ্র মাধ্যমের বিদ্যালয় রয়েছে ২টি। বাংলা মাধ্যম স্কুলে পড়াশুনা করে ১৩ হাজার ৩৩৮ জন, হিন্দি মাধ্যমে ৫ হাজার ৬১১ জন, উর্দু মাধ্যমে ৮ হাজার ৬৮১ জন, একই স্কুলে বাংলা ও উর্দু মাধ্যমে ৬৮১ জন এবং হিন্দি ও উর্দু মাধ্যমে ৪৪৮ জন পড়াশুনা করে। মেয়র পারিষদ বলেন, পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজখবর রাখাও আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। এবার থেকে বেশি করে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছি। পাশাপাশি, সর্বশিক্ষা মিশনের অধীনে থাকা যে ক’টি বিদ্যালয় আমাদের তত্ত্বাবধানে চলে, সেগুলির উপরেও নজরদারি বাড়াতে নির্দেশ দিয়েছি।
২০১১ থেকে ২০১৩ সাল, এই তিন বছরে শহরে ডেঙ্গু সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেজায় ক্ষুব্ধ হন। তিনি পুরসভাকে নির্দেশ দেন, বছরের শুরু থেকেই মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় কাজ শুরু করতে হবে। তারপরই মশা প্রতিরোধের পদ্ধতি বদলায় পুরসভা।
পুর কমিশনারের দেওয়া তালিকানুযায়ী, ২৬, ২৯, ৩১, ৩২, ৩৩, ৩৬, ৪৩, ৫০, ৫৮, ৬৪, ৬৬, ৬৮, ৭৪, ৭৭, ৮২ ও ১০৩ নম্বর ওয়ার্ডে পুরসভার একটি করে বিদ্যালয়ে এবং ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডে দু’টি, ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডে তিনটি বিদ্যালয়ে ডেঙ্গু বা অন্যান্য মশাবাহিত জীবাণুর উপস্থিতি মিলেছে। পুর কমিশনার ১৬টি বরোর স্বাস্থ্য আধিকারিককে নিজ নিজ এলাকার সম্ভাব্য মশার আঁতুড়ঘরগুলি সম্পর্কে জানাতে নির্দেশ দেন। সেই রিপোর্ট আসা মাত্র পুর কমিশনারের নজরে আসে, শিক্ষা বিভাগের অধীনস্থ ২৩টি বিদ্যালয়ের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। চিঠি অনুযায়ী, কোনও বিদ্যালয়ে জমে থাকা জলে মশার আতুঁড়ঘর তৈরি হয়েছে, কোথাও আবার আবর্জনা স্তূপাকারে থাকলেও পরিষ্কারের নামগন্ধ নেই। মশার আতুঁড়ঘর মিলেছে বিদ্যালয়গুলির ছাদেও। সেখানে বর্ষার জল দিনের পর দিন জমেছে। সেখানেই ডিম পেড়ে মশার লার্ভা জন্মাচ্ছে। সব মিলিয়ে রীতিমতো ‘ভয়াবহ’ অবস্থা বলে ব্যাখ্যা করেছেন পুর কমিশনার খলিল আহমেদ। তবে পুরসভার শীর্ষকর্তাদের মতে, কমিশনারের চাপে বরো থেকে রিপোর্ট পাওয়ায় বিদ্যালয়গুলির এই ভয়াবহ চিত্র নজরে এসেছে। কিন্তু এতদিন সাফাই হয়নি কেন? কেন বিপদের মধ্যে পড়ুয়াদের পড়াশুনা করতে হয়েছে? স্বাভাবিকভাবেই নজরদারির গাফিলতিতে ক্ষুব্ধ খোদ কমিশনারও।