পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন গ্রীষ্মকালীন ছুটি চলছে। তাই স্কুল হচ্ছে না। কিন্তু, দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রদের বিশেষ ক্লাসের জন্য গোপালনগরের চৌবেড়িয়া দীনবন্ধু হাইস্কুলে শনিবার দুপুরে বিশেষ ক্লাস করাচ্ছিলেন এক শিক্ষক। অভিযোগ, গোপালনগরের এক তৃণমূল নেতার অনুগামীরা এসে স্কুলের ভিতরে ঢুকে ওই শিক্ষককে হুমকি দেন। গালিগালাজ করেন। এমনকী, তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। পরে এলাকার লোকজন এ কথা জানতে পারার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন। সন্ধ্যা ৬টা থেকে তাঁরা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছে, ওই শিক্ষক ফেসবুকে নানা মন্তব্য করেছেন। তাই কয়েকজন তাঁর কাছে বিষয়টি জানাতে গিয়েছিলেন। হুমকি বা খারাপ ব্যবহার করা হয়নি। এলাকার লোকজনদের দাবি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভিতরে ঢুকে কেন একজন শিক্ষককে শাসানো হবে? তাই এলাকার মানুষ বিক্ষোভে নেমেছেন।
অন্যদিকে, গাছ চাপা পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হওয়ায় রাস্তার পাশে থাকা শুকনো ও পুরানো গাছ কাটার দাবিতে দত্তপুকুরের চালতাবেড়িয়া এলাকায় রবিবার তিন ঘণ্টা যশোর রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন এলাকার বাসিন্দারা। প্রসঙ্গত, শনিবার সন্ধ্যার ঝড়-বৃষ্টিতে ওই এলাকায় যশোর রোডের ধারের একটি মেহগিনি গাছ পড়ে যায়। তাতে চাপা পড়ে দেবাশিস শীল (৩২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় আরও দু’জন জখম হয়েছেন। এদিন সকালে এলাকার লোকজন মৃতের ছবি নিয়ে যশোর রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের দাবি, রাস্তার ধারে অনেক শুকনো ও পুরানো গাছ রয়েছে। যেগুলি প্রায়ই ভেঙে পড়ে। তাতে দুর্ঘটনা ঘটে। তাই ওই ধরনের গাছগুলি কেটে ফেলতে হবে। দ্বিতীয়ত, মৃত দেবাশিস শীল পরিবারের একমাত্র রোজগারে যুবক ছিলেন। তাই তাঁর পরিবারকে নায্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পাশাপাশি পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়ারও দাবি উঠেছে। পুলিস ও প্রশাসনের আধিকারিকেরা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে।