কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
রবিবার বিষ্ণুপুরে দলীয় নির্বাচনী কার্যালয়ে লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ ও পরাজয়ের কারণ সম্পর্কে পর্যালোচনার জন্য বৈঠক ডেকেছিল বিজেপি। সেখানে বিধানসভা ভিত্তিক বুথ ধরে ফলাফল যাচাই হয়। তাতে দেখা যায়, গতবারের লোকসভা নির্বাচনের চেয়ে এবারের নির্বাচনে সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রেই বিজেপির ভোট বেড়েছে। বিগত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছিল দু’লাখের বেশি ভোট। সেখানে এবার বিজেপির প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা সাড়ে চার লাখ পেরিয়ে গিয়েছে। পোস্টাল ব্যালটে বিজেপির কাছে হেরে গিয়েছে তৃণমূল। নীলাঞ্জনবাবু বলেন, তৃণমূল হেরে যাবে এই ভয়ে ভোটের কয়েকদিন আগে থেকে ডায়মন্ডহারবার, মহেশতলা, বজবজ জুড়ে আমাদের দলের দায়িত্বপ্রাপ্তদের মিথ্যা অভিযোগে কেস দিয়ে গ্রেপ্তার করানো হয়। যাতে ওই সব জায়গাতে বিজেপি ভোটে ধাক্কা খায়। শুধু তাই নয়, পুলিসের এই বাড়াবাড়ির জন্য আতঙ্কে বিজেপির মহিলা মোর্চা সহ অনেক নেতা-নেত্রী ভোটের দিন এলাকার বাইরে চলে যেতে বাধ্য হন। তা সত্ত্বেও মানুষ যেখানে ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন সেখানে বিজেপিকে দিয়েছেন। যেমন সাতগাছিয়া বিধানসভার মৌখালি, বাখরাহাট, চন্ডী, কাঙ্গনবেড়িয়া, পাথরবেড়িয়া, বোরহানপুর, পঞ্চানন। এখানে বিজেপি এগিয়ে গিয়েছে। নীলাঞ্জবাবুর দাবি, এভাবে সায়েন্টিফিক রিগিং না হলে বিজেপির কাছে তৃণমূলের অভিযেক বন্দ্যোপাধ্যায় দেড় লাখ ভোটের ব্যবধানে হেরে যেতেন। স্বাভাবিকভাবে প্রার্থী হিসেবে মনে করি, ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রে আমজনতার ভোটে অভিষেক জেতেননি। জল মিশিয়ে জিতেছেন। অভিযোগ প্রসঙ্গে ফলতার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গির খান বলেন, উনি হেরে গিয়ে ভুল বকছেন। ভোটের আগে ও পরে বিডিও অফিসে কখনই যাইনি। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনে জওয়ান দিয়ে ভোট হয়েছে। জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ শ্রীমন্ত বৈদ্য বলেন, বিজেপি প্রার্থীর হেরে গিয়ে মাথার ঠিক নেই। তাই আমাদের নামে অহেতুক মিথ্যা কথা বলছেন। বাইরে থেকে এসে এভাবে ভুল কথা বলে বাজার গরম করা যাবে না। কারণ, এখানে সার্বিক উন্নয়নের নিরিখে ভোট হয়েছে। তাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রেকর্ড ভোটে জিতেছেন।