বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
যদিও ব্লক তৃণমূল সভাপতি মণীন্দ্র দত্তের কথায়, এখানে কেউ কারও অনুগামী নন। প্রত্যেকেই তৃণমূল। এই ঘটনা যারা ঘটিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিসকে বলা হয়েছে। দলের শীর্ষমহলে বিষয়টি জানানো হবে। উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূলের সভাপতি দেবাশিস কুমার বলেন, এই ধরনের ঘটনা অত্যন্ত অনুচিত। বিষয়টি আমি দেখছি। আগামীদিন এই ধরনের ঘটনা এড়াতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমি পুলিসের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলব। এদিকে, এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী জাভেদ খান বলেন, এটা কোনও তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নয়। পারিবারিক কারণে ঝামেলা হয়েছে। এর সঙ্গে শুধু শুধু তাঁর নাম জড়ানো হচ্ছে। শাসকদলের অন্তর্দ্বন্দ্ব সামলাতে দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূলের সভাপতি দেবাশিস কুমার নির্বাচনের আগে পুরসভায় নিজ ঘরে বসে দু’পক্ষের মধ্যে বৈঠকও করেন। কিন্তু তাতে হাল যে ফেরেনি, তা এই ঘটনাতেই প্রমাণিত। প্রসঙ্গত, এই অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরেই কলকাতা দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত এই ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী ৩ হাজার ৭৩৩ ভোটে বিজেপির থেকে পিছিয়ে ছিলেন।
এলাকার বাসিন্দাদের কথায়, ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের ব্লক তৃণমূল সভাপতি মণীন্দ্র দত্তের ঘনিষ্ঠ নেতাদের হাত ধরে নির্বাচনের আগে অন্য রাজনৈতিক দলের বহু মানুষ শাসকদলে যোগ দেন। অভিযোগ, সেই যোগদানকারীদের উপরে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করে আনন্দপুরের বিধায়কের অনুগামীরা। পূর্বপাড়ার বাসিন্দাদের অভিযোগ, স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা নির্বাচনের আগে থেকে হুমকি দিয়ে যান, ব্লক তৃণমূল সভাপতির মিছিলে থাকা চলবে না। বিধায়কের মিছিলে বেশি লোক জমায়েত করতে হবে। কিন্তু সেই নির্দেশ তোয়াক্কা করেননি তাঁরা। ইতিমধ্যে এলাকায় তোলাবাজি, ভেড়ি বুজিয়ে দেওয়া বা রাতের অন্ধকারে জমি দখল করে নির্মাণ তৈরি করে ৫০ হাজার বা এক লক্ষ টাকায় বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ওই নেতাদের বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদ করেছিলেন পূর্বপাড়ার বাসিন্দারা। রবিবার ভোরে সেকারণেই বাইকে করে ওই নেতাদের নেতৃত্বে প্রায় ৪০-৫০ জন হানা দেয় পূর্বপাড়ায়। ঘুমন্ত অবস্থায় এলাকার বাসিন্দাদের ঘর থেকে বের করে নিয়ে এসে বেধড়ক মারধর করা হয়। ঘর ভাঙচুর করা হয়। রেহাই পাননি মহিলারাও। এলাকার মহিলাদের অভিযোগ, দিনের পর দিন বিধায়কের অনুগামীরা এলাকায় তাণ্ডব চালাচ্ছে। অথচ, পুলিস সম্পূর্ণ চুপ। এদিন সকালে মারের পাল্টা মার হলে দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক মারপিট হয়। আনন্দপুর থানায় অবশ্য দু’পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিস ঘটনার তদন্ত করছে।