গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
তবে তা মানতে নারাজ সিঙ্গুরের নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান তথা হরিপালের বিধায়ক বেচারম মান্না। তাঁর দাবি, হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় বিজেপি ইভিএম মেশিনে কারচুপি করেছে। তাই সিঙ্গুরে তৃণমূল প্রার্থীকে হারতে হয়েছে। তাছাড়া প্রাথমিকভাবে দেখা গিয়েছে, সিপিএমের ভোট বিজেপির ঝুলিতে গিয়েছে। তবে আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি ওই সমস্ত এলাকায় এখনই ব্যালটে ভোট হলে আমরাই জয়ী হব। যদিও বেচারামবাবুর অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে বিজেপি। বিজেপি নেতা সুরেশ সাউ বলেন, মানুষের রায়ে হেরে যাওয়ার পর শাসকদলের নেতারা বাইরে মুখ দেখানোর মতো অবস্থায় নেই। তাই তারা এখন নানা ধরনের আজগুবি গল্প শুনিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
প্রসঙ্গত, গত লোকসভা নির্বাচনে সিঙ্গুর বিধানসভা কেন্দ্রে ৯০ হাজার ৬০৬ ভোট পেয়ে ২৯ হাজার ৫৫১ ভোটে লিড পেয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী রত্না দেনাগ। কিন্তু, এবার তাঁর প্রাপ্ত ভোট কমে ৮২ হাজার ৭৪৮ হয়েছে। ১০ হাজার ৩৯৩ ভোটে বিজেপি প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। শুধু তাই নয় ফলাফল প্রকাশের পর দেখা যায় জমি আন্দোলনের আঁতুড়ঘর বেড়াবেড়ি সহ মোট ৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল লিড পেয়েছে। বিধানসভার বাকি গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে শাসকদল পরাজিত হয়েছে। ফলাফল প্রকাশের পর দেখা গিয়েছে, সিঙ্গুরে শাসকদলের দুই প্রধান মুখ বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য ও হরিপালের বিধায়ক বেচারাম মান্নার পঞ্চায়েতেও তৃণমূল পরাজিত হয়েছে।
নিচুতলার কর্মীদের একাংশের দাবি, গত বিধানসভা নির্বাচনে সিঙ্গুরে আমরা প্রায় ২০ হাজার ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৪৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে ছিলাম। কিন্তু নির্বাচন ঘোষণার পর দলের গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে বিধায়ক অনুগামীরা মুখে একসঙ্গে নির্বাচনের কথা বললেও বাস্তবে মাঠে নামেননি। শুধু তাই নয় তাঁদের একটা অংশ নীরবে বিজেপির হয়ে ভোট করেছে বলে নিচুতলার কর্মীদের একাংশের অভিযোগ। এছাড়াও সিপিএমের কিছু ভোট বিজেপির দিকে যাওয়াটা একটা ফ্যাক্টর হিসাবে কাজ করেছে।
যদিও নিচুতলার কর্মীদের অভিযোগ মানতে নারাজ সিঙ্গুরে রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য শিবিরে থাকা যুব নেতা অভীক ঘোষ। তাঁর দাবি, সবাই একসঙ্গে ভোট করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু এবারের নির্বাচন উন্নয়ন বা অনুন্নয়ন নয় বিজেপির প্রচার ধর্মের মেরুকরণের মাধ্যমে হয়েছে। আর মানুষকে আমরা সেটা বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছি। সেজন্যই হিন্দু এলাকার ভোট বিজেপির দিকে গিয়েছে।