বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার রাতে বিজেপি প্রার্থীর জয়ের পরেই হুগলির কাপাসডাঙা, রবীন্দ্রনগর ও ব্যান্ডেলে তৃণমূলের কর্মীদের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি কাপাসডাঙায় তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙচুর করে গেরুয়া বাহিনী। শুক্রবারও চুঁচুড়ার পাঙ্খাটুলিতে তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙচুর করে বিজেপি। অফিসের ভিতরে ঢুকে টেবিল চেয়ার ভাঙার পাশাপাশি তৃণমূলের ব্যনার ফ্লেক্স ছিঁড়ে নষ্ট করে দেয়। ঘটনার প্রতিবাদ করায় শাসকদলের কর্মী আশিস মজুমদারকে মাটিতে ফেলে লাঠি বাঁশ দিয়ে মারধর করে বিজেপি কর্মীরা। মারধরের খবর পেয়ে দলীয় কর্মীরা ছুটে এসে আক্রান্তকে উদ্ধার করে। এরপরে তাঁকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঘটনার প্রতিবাদ করে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকেরা চুঁচুড়া থানার সামনে বিক্ষোভে করে। পার্টি অফিস ভাঙচুর ও দলীয় কর্মীর উপরে হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি করতে থাকে। খবর পেয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, আমরা ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পরে মানুষকে রবীন্দ্র সঙ্গীত শুনিয়ে ছিলাম। আমরা কোনও অশান্তি করিনি। কিন্তু বিজেপি ক্ষমতা পেয়ে বাংলায় অশান্তি করছে। আমরা পুলিস প্রশাসনকে বলেছি। পাশাপাশি অসিতবাবু বলেন, কেউ যদি মনে করে আমরা পড়ে পড়ে মার খাব সেটা কিন্তু হবে না। মানুষ পাল্টা প্রতিরোধ গড়বে। যদিও জেলা ওবিসি মোর্চার সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, তৃণমূল বিধায়ক মিথ্যে অভিযোগ করছেন। তৃণমূলের কর্মীরাই এদিন আমাদের পাঙ্খাটুলিতে পুরনো পার্টি অফিস ভেঙেছে বলে তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই তৃণমূল পুলিসকে আতিয়ার করে আমাদের কর্মীদের নামে একের পর এক মিথ্যা মামলা করছে।
অন্যদিকে, ধনেখালি ও সোমসপুরের জয়রামবাটিতে তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। ধনেখালির বিধায়ক অসীমা পাত্র বলেন, এদিন সকালে বিজেপির লোকজন মাজিনানে তৃণমূলের পার্টি অফিসের ভিতরে ঢুকে পাখা আলমারি ভাঙচুর করে। সোমসপুরের জয়রামবাটিতেও তৃণমূলের একটি পার্টি অফিসে ভাঙচুর করে। পাশাপাশি এদিন দুপুরে আমাদের গুড়াপ অঞ্চল সভাপতি সহ দু’জনকে বেধড়ক মারধর করেছে। বিধায়কের অভিযোগ, এই বিধানসভায় সাংগঠনিকভাবে লড়াই করতে না পেরে বিজেপি মারধর, ভাঙচুর করে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে।