বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিন আরামবাগের কালীপুরে গণনা কেন্দ্রের বাইরে শতাধিক কর্মী নিয়ে ক্যাম্প অফিস খোলে তৃণমূল। সেখানে অবশ্য বিরোধীদের দেখা যায়নি। কিন্তু, আরামবাগ সহ রাজ্যে বিজেপির ফলাফল ভালো হওয়ায় উল্লাসে মেতে ওঠেন গেরুয়া দলের কর্মী সমর্থকরা। গণনা কেন্দ্রে এদিন আঁটসাঁট নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয় সেখানে সকাল থেকেই চাপা উত্তেজনায় গণনা পর্ব শুরু হয়। বেলা যত বাড়তে থাকে ততই তৃণমূলের ভোটের ব্যবধান বাড়তে থাকে। তবে দুপুরের পর আরামবাগ কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গে বিজেপি প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান ২০ হাজারে গিয়ে ঠেকে। এমনকী, একবার বিজেপি প্রার্থী তপন রায় তৃণমূলকে পিছনে ফেলে এগিয়েও যান। সেই ফলের পর বিজেপি কর্মী সমর্থকরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। কিন্তু, কিছুক্ষণের মধ্যেই তৃণমূল প্রার্থী কামব্যাক করেন এবং লিড বাড়িয়ে নেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত দুই দলের ভোটের ব্যবধান নিয়ে উভয় শিবিরই যথেষ্ট চিন্তিত হয়ে পড়ে। ভোটের ফলাফল জানতে এদিন গণনা কেন্দ্রের ভিতরে মিডিয়া সেন্টারে থাকা টিভির পর্দায় তিন দলেরই সমর্থকরা একই সঙ্গে বসে খবরে চোখ রাখেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আরামবাগ কেন্দ্রের ২০৫৮টি বুথে প্রায় ১৪লক্ষ ভোটার ভোট দেন। সেই ভোট এদিন তারকেশ্বর, হরিপাল ও চন্দ্রকোণা বিধানসভার জন্য ২০টি করে টেবিলে গোনা হয়। এছাড়া আরামবাগ, পুরশুড়া ও খানকুলের জন্য ২১টি করে টেবিল করা হয়। এছাড়া গোঘাটের ভোট ২২টি টেবিলে গণনা হয়েছে। এদিন বেশকিছু ইভিএম মেশিন বিকল হয়ে যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট বুথের ভিভিপ্যাট মেশিন গোনার কাজ শুরু করে কমিশন। তবে গণনা পর্বে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে ভোটের ব্যবধান এতটা কাছাকাছি ছিল যা নিয়ে উত্তেজনা চরমে ওঠে। তবে দুই দলের টানাপড়েনের মধ্যেই রাত পর্যন্ত এগিয়ে থাকে তৃণমূল। সেই এগিয়ে থাকার আনন্দেই গণনা কেন্দ্রের বাইরে ক্যাম্প অফিসে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা আনন্দে মেতে ওঠেন।
এদিকে, এদিন গণনাকেন্দ্রের ভিতরে বেলা ১১টা পর্যন্ত সংবাদ মাধ্যমকে ফলাফল নিয়ে কোনও তথ্য না দেওয়ায় সাংবাদিকরা ধর্ণায় বসে বিক্ষোভ দেখান। পরে অবশ্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়।
এদিন দেখা যায়, ভোটের ব্যবধানে গোঘাট ও পুরশুড়া বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের ভরাডুবি হয়েছে। তবে শাসকদলের মুখ রক্ষা করেছে আরামবাগ, খানাকুল, চন্দ্রকোণা, তারকেশ্বর ও হরিপাল। তবে, পোস্টাল ব্যালটের ভোটে বিজেপির জয় হয়েছে। জানা গিয়েছে, বিজেপি ১০৩২টি পোস্টাল ব্যালটের ভোট পেয়েছে। অন্যদিকে, তৃণমূল ৩১৬টি ভোট পায়।
বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, খুব কম ব্যবধান হলেও আমাদের জয় নিশ্চিত ছিল। তার ফল এদিন আমরা পেয়েছি। যা আরামবাগের মানুষের কাছে ইতিহাস হয়ে রইল।
তৃণমূলের আরামবাগ ব্লক সভাপতি স্বপন নন্দী বলেন, যে সব জায়গায় আমাদের সমস্যা হয়েছে সেখানে নেত্রীর নির্দেশে আমরা সংশোধন করব। মানুষ উন্নয়নের পক্ষে আমাদের আশীর্বাদ করেছেন। তাই আমরা জয়ী হয়েছি।