বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ভাটপাড়া বিধানসভায় টানা চারবারের তৃণমূল বিধায়ক ছিলেন অর্জুন সিং। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরই বারাকপুর লোকসভায় তিনি প্রার্থী হন। বিধায়ক পদে ইস্তফা দেওয়ার পরই এই বিধানসভায় উপনির্বাচন হচ্ছে। ১৯ মে উপনির্বাচনের দিন সকাল থেকেই অধিকাংশ বুথে ভোটাররা লাইন দিয়ে ভোট দিয়েছেন। দুপুর থেকেই গুলি, বোমায় ভাটপাড়া অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। স্বাভাবিকভাবে ভাটপাড়া বিধানসভায় হেভিওয়েট প্রার্থী মদন মিত্র, না রাজনীতিতে অভিষেক হওয়া পবন বাজিমাত করবেন তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা ছিল।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপি প্রার্থী পবন সিং ৫৮ হাজার ১০৩ ভোট, তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্র ৩৫ হাজার ৮টি ভোট পেয়েছেন। বাকি কংগ্রেস প্রার্থী ৭৪৪, সিপিএম প্রার্থী ৩৫৮৮ ভোট পেয়েছে। ২৩ হাজারের বেশি ভোটের ব্যবধানে মদন মিত্রকে পবন হারিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী। পবনের বক্তব্য, এই জয় মানুষের জয়। আমি রাজনীতিতে নবাগত। ভাটপাড়া এলাকার মানুষের জন্য আমি কিছুই করিনি। তারপরও এলাকার মানুষ বিশ্বাস করে দুহাত তুলে আমাকে সমর্থন করেছেন। এবার মানুষের সেই বিশ্বাসের মান রাখতে আমি কাজ করব। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের দিন থেকে ভাটপাড়া উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। গত চারদিন আমি ঘুমোতে পারিনি। বহু মানুষ ঘরছাড়া, বাড়ি জ্বলে গিয়েছে। অনেকের বাড়ি লুটপাট হয়েছে। সকল ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে আমি এবার থাকব।
অন্যদিকে, তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্র বলেন, এই পরাজয়ের দায় আমার। আমি তা মাথা পেতে নিলাম। আমার লড়াই ছিল অর্জুনের সঙ্গে। পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে। মানুষ পরিবারতন্ত্রের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। আর সিপিএমের সমস্ত ভোট ওদের দিকে চলে গিয়েছে। কেন এমন হল তা মূল্যায়ন করা হবে। ভাটপাড়ার মানুষের সঙ্গে আমি সবসময় থাকব। ভাটপাড়ায় যাতে শান্তি ফিরুক তা আমি চাই। আর পবন আমার ছেলের মতো। ওকে আমি শুভেচ্ছা জানিয়েছি।