বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
কয়েকদিন আগেও বড়বাজারের এন এস রোড, কটন স্ট্রিট, মহাত্মা গান্ধী রোড, ওল্ড চীনা বাজার স্ট্রিট এলাকায় রাস্তার দু’ধারে শোভা পাচ্ছিল তৃণমূলের পতাকা। এদিন ভোটের ফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই দেখা গেল, ঘাসফুলের পতাকার পাশাপাশি পতপত করে উড়ছে বিজেপির পতাকাও। ব্যবসায়ীদের সম্বোধনের ভাষাও বদলে গিয়েছে। দেখা মাত্রই একে অন্যকে ‘জয় শ্রীরাম’ বলে সম্বোধন করছেন।
বড়বাজারের পণ্ডিত পুরুষোত্তম রায় স্ট্রিট, ওল্ড চীনা বাজার স্ট্রিটে গিয়ে দেখা গেল, সেখানে বিভিন্ন দোকানে থরে থরে সাজানো রয়েছে আবিরের বস্তা। পাঁচ কেজি ও দশ কেজি ওজনের সেই বস্তার দাম যথাক্রমে ৩০০ ও ৬০০ টাকা। তবে গেরুয়া আবিরের পরিমাণই বেশি। কথা হচ্ছিল আবির বিক্রেতা সমীরণ পাল ও সন্দীপ পালের সঙ্গে। তাঁরা বলেন, সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কেবল গেরুয়া আবিরই বিক্রি হয়েছে। মাঝে মধ্যে অবশ্য সবুজ আবিরও বিক্রি হয়েছে, তবে তার পরিমাণ কম। সমীরণবাবু বলেন, বিকেলের পর যে কয়েকজন খুচরো বিক্রেতা আবিরের বরাত দিয়েছেন, তাঁদের পছন্দের রং গেরুয়া। এরমধ্যেই মাথায় গেরুয়া রঙের ফেট্টি বাঁধা দুই যুবক পাঁচ কেজি ওজনের দু’টি গেরুয়া আবিরের প্যাকেট কিনে নিয়ে দ্রুত বেরিয়ে গেল। তপনবাবু বললেন, পুরো ফল প্রকাশের পর হয়ত, বাজার একটু এদিক-ওদিক হতে পারে। আর এক বিক্রেতা কালাচাঁদ মানত বলেন, তাঁর দোকান সবুজ আবিরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিক্রি হয়েছে গেরুয়া আবির।
বড়বাজারের কটন স্ট্রিটে পরপর মিষ্টির দোকান। সেখানে চাহিদা বেশি লাড্ডুর। দোকানের সামনে রীতিমতো উৎসবের চেহারা। বিশাল বিশাল ট্রেতে থরে থরে সাজানো রয়েছে লাড্ডু। ১২০ টাকা থেকে শুরু করে ২০০ টাকা পর্যন্ত কেজি দরে বিক্রি হয়েছে এই লাড্ডু। ২০ পিসের প্যাকেটও বিক্রি হয়েছে হু হু করে। ব্যবসায়ীদের কয়েকজন বললেন, সকালের দিকে বাজারটা কিছুটা ঝিম মেরেছিল। কিন্তু বেলা গড়াতেই মেজাজি চেহারায় ফিরে এসেছে বাজার। লাড্ডুর বরাত দিতে ঘনঘন ফোন আসছে। সঙ্গে সঙ্গেই ফ্যাক্টরিতে ফোন করে জানিয়ে দিচ্ছি।