পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
নিজের জয় নিশ্চিত হতে চলেছে, এটা বোঝার পর এদিন বিকাল ৫টা নাগাদ লকেট চুঁচুড়ায় জেলা কার্যালয়ে হাজির হন। তাঁকে কাছে পেয়েই বিজেপি কর্মীরা আবির উড়িয়ে জয়ধ্বনি দিতে শুরু করেন। প্রসঙ্গত, গত লোকসভা নির্বাচনে ৭ টি বিধানসভা থেকেই লিড নিয়ে ১ লক্ষ ৮৯ হাজার ৫৮ ভোটের ব্যবধানে হুগলি কেন্দ্র থেকে তৃণমূল প্রার্থী রত্নাদেবী জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু, এবারের নির্বাচনে চুঁচুড়া, সপ্তগ্রাম, বলাগড় ও সিঙ্গুর মোট চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে হারতে হয়েছে। পাণ্ডুয়া, ধনেখালি ও চন্দননগর বিধানসভার লিড কমে তলানিতে ঠেকেছে। তাই এবারের নির্বাচনে প্রায় ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হতে হয়েছে।
জেলা কার্যালয়ের সামনে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, এই জয় হুগলিবাসীর জয়। আমি আমার জয়কে পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের উৎসর্গ করছি। লকেট বলেন, মানুষ সন্ত্রাসের হাত থেকে বাঁচতে বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন। তিনি বলেন, মানুষ ২০১১ সালে পরিবর্তন দেখেছিল। কিন্তু কিছুই হয়নি। তাই এবার পরিবর্তনের পরিবর্তন করেছেন। মানুষের যে প্রত্যাশা রয়েছে তা পূরণ করার চেষ্টা করব।
অন্যদিকে, নিজের পরাজয় নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তৃণমূল কংগ্রেসের বিদায়ী সংসদ সদস্য রত্না দেনাগ। তিনি বলেন, ফলাফল নিয়ে যা বলার জেলা নেতৃত্ব বলবে। তৃণমূল কংগ্রেসের হুগলি জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্ত বলেন, সিপিএম ও কংগ্রেসের ভোট ব্যাপকভাবে বিজেপির দিকে যাওয়ার কারণেই হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে আমাদের পরাজয় হয়েছে। তিনি বলেন, মানুষের রায় তো মাথা পেতে নিতে হবে। কিন্তু ব্যাপক উন্নয়নের কাজের পরেও মানুষের সমর্থন কেন হঠাৎ করে বিজেপির দিকে গেল আমরা তা তদন্ত করব।
এদিন ভোর থেকেই চুঁচুড়ার কারবালা মোড় ও পিপুলপাতিতে শাসকদলের বিধায়ক, পুরসভার চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে সাধারণ কর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেন। অন্যদিকে, ৩ নম্বর গেট লাগোয়া বিজেপি জেলা কার্যালয়ের সামনে জমায়েত হয়। সকাল ৮টা নাগাদ গণনার কাজ শুরু হয়। প্রথম রাউন্ডেই তৃণমূল প্রার্থী রত্না দেনাগ প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার ভোটের ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েন। তারপর থেকেই বেলা ও রাউন্ডের সংখ্যা যত বেড়েছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে রত্না দেনাগের সঙ্গে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের প্রাপ্ত ভোটের ব্যবধানও। প্রথম তিন চারটি রাউন্ডের ফল আসার পরেই ধীরে ধীরে শাসকদলের ক্যাম্প অফিস ফাঁকা হতে শুরু করে। একে একে বিধায়ক সহ পদাধিকারীরা হতাশ হয়ে ফিরে যেতে শুরু করেন।
অন্যদিকে, বিজেপির জেলা অফিসের সামনে সমর্থকদের ভিড় বাড়তে থাকে। দুপুর ১টা নাগাদ দশম রাউন্ডে বিজেপি প্রার্থী ৩০ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে যান। সেই খবর আসার পরেই শাসকদলের শিবির পুরোপুরি ফাঁকা হয়ে যায়। ওই সময় থেকেই বিজেপি অফিসের সামনে আবির খেলায় মেতে ওঠেন দলের কর্মীরা। ধীরে ধীরে আবিরের পাশাপাশি হাজির হয় বাজনা পার্টি। রাস্তায় পথচলতি মানুষকে আবির মাখিয়ে মিষ্টিমুখ করাতে শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা। অকাল হোলিতে মেতে ওঠেন বিজেপি কর্মীরা।