নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ভিআইপি রোডে হলদিরাম মোড়ের কাছ থেকে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ স্থানীয় লোকজন ওই মৃতদেহ দেখতে পেয়ে পুলিসকে খবর দেয়। পুলিস দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আর জি কর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ভিআইপি রোডে এয়ারপোর্টগামী রাস্তার ধারে দেহটি পড়েছিল। জায়গাটি আগাছায় ভরা। মৃতের বয়স ৩০-৩৫ বছরের মধ্যে। পরনে ছিল গেঞ্জি ও জিনস। তাঁর মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মৃতদেহের পাশে একটি কৌটো পাওয়া গিয়েছে, তাতে বিষ ছিল বলে অনুমান। এই ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে বাগুইআটি থানার পুলিস। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই ব্যক্তি। পড়ে গিয়েই তাঁর মাথায় আঘাত লেগে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তিনি কোথা থেকে এবং কীভাবে ভিআইপি রোডে এলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আত্মহত্যাই যদি করে থাকেন, তাহলে তিনি কেন এই জনবহুল এলাকা বেছে নিলেন, তা নিয়েও সন্দেহ দেখা দিয়েছে। তবে দেহের পাশে বিষের কৌটো মেলায় মনে করা হচ্ছে, আত্মঘাতীই হয়েছেন। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে। এলাকার সিসিটিভি’র ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত মৃতদেহের পরিচয় জানা যায়নি।
এদিকে, উত্তর দমদম পুরসভা এলাকার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের শরৎ কলোনি থেকে এক অগ্নিদগ্ধ মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরে ঘটনাটি ঘটে। মৃতার নাম মিনু ভৌমিক। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ছেলে, বউমা ও নাতনিকে নিয়েই ওই মহিলা থাকতেন। ছেলে উপরের তলায় থাকতেন। তিনি থাকতেন নীচে। এদিন ঘরের বাইরে তাঁকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। বারাসত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, গায়ে আগুন দিয়েই আত্মহত্যা করেছেন তিনি। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে এয়ারপোর্ট থানার পুলিস। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্পত্তি নিয়ে ছেলে, বউমার সঙ্গে গণ্ডগোল লেগেই থাকত ওই মহিলার। স্থানীয় কাউন্সিলার মহুয়া শীল বলেন, আমরা চাই সঠিক তদন্ত হোক। দোষী শাস্তি পাক।