কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
বুধবার সকাল থেকে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের ভাঙড়, সোনারপুর, বারুইপুর, যাদবপুর ও টালিগঞ্জ জুড়ে আমজনতার মুখে মুখে ঘুরেছে এই জল্পনা। যাদবপুর, টালিগঞ্জ জুড়ে মানুষের মুখে সিপিএম প্রার্থী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের নাম নিয়ে চর্চা হয়েছে। অনেকেই বলেছেন, প্রাক্তন মেয়র ও একজন অভিজ্ঞ আইনজীবী হিসেবে সংসদে গেলে আমজনতার কথা সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারবেন। তবে তার সঙ্গে একমত হতে পারেনি ভাঙড়, সোনারপুর উত্তর, সোনারপুর দক্ষিণ, বারুইপুর পূর্ব, বারুইপুর পশ্চিমের মানুষ। বলা যায় সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মিমি চক্রবর্তীর হয়ে সওয়াল করেছে। তাদের কথায়, সিপিএম প্রার্থী জিতলে কোনও লাভ হবে না। কারণ, কেন্দ্র ও রাজ্যে কোথাও সিপিএম ক্ষমতায় নেই। সেক্ষেত্রে লোকসভায় তৃণমূল গেলে লাভ হবে যাদবপুর মানুষের।
সোনারপুর উত্তরের বিধায়ক ফিরদৌসি বেগম, সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়ক জীবন মুখোপাধ্যায়, ভাঙড়ের প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলাম বলেন, যাদবপুর লোকসভা বরাবর তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে রয়েছে। তার বাইরে কোনও দল এখান থেকে এখনও সংসদে যেতে পারেনি। কারণ, এই লোকসভার সাতটি বিধানসভার মধ্যে ছ’টিতে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক। যাদবপুর বিধানসভা সিপিএমের দখলে। সেই হিসেবে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট তৃণমূলের। স্বাভাবিকভাবে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র এবার জোড়া ফুলের দখলে আসছেই।
একই জল্পনা জয়নগর, ডায়মন্ডহারবার, মথুরাপুর কেন্দ্র নিয়েও। আমজনতার কথায়, গত লোকসভা নির্বাচনে ওই তিনটি তৃণমূলের দখলে ছিল। এখানকার ২১টি বিধানসভার মধ্যে একটি ছাড়া ২০টি তৃণমূলের হাতে। স্বাভাবিকভাবে এবারও তা তৃণমূলের হাতে থাকছে বলে নিশ্চিত জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী। তিনি বলেন, চারটি আমাদের হাতে ছিল। এবারও তা থাকছে। বিজেপির দুই জেলা সভাপতি সুনীপ দাস ও অভিজিৎ দাস বলেন, ডায়মন্ডহারবার ও মথুরাপুর ও জয়নগরে এবার পঞ্চায়েতে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। সেই ক্ষোভের জেরে চারপাশে তৃণমূল বিরোধী হাওয়া। তাতে ডায়মন্ডহারবার ও মথুরাপুর ও জয়নগরে মিরাকেল ঘটতে চলেছে। কোনও হিসেবে মিলবে না। মানুষের রায় পদ্মফুলের দিকে বলে দাবি বিজেপির। সিপিএম অবশ্য যাদবপুর নিয়ে আশাবাদী। তবে আজ, বৃহস্পতিবার সমস্ত জল্পনার অবসান হয়ে যাচ্ছে। চারটি কেন্দ্র তৃণমূলের হাতে থাকছে না কি এর পরিবর্তন হচ্ছে তা গণনার পরই স্পষ্ট হয়ে যাবে। সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে চার লোকসভা কেন্দ্রের ৭৬ লাখ ৭০ হাজার ১০৬ জন ভোটার।