গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
ওয়েস্ট বেঙ্গল ফরেন লিকার অফশপ, অনশপ অ্যান্ড হোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের হাওড়ার সম্পাদক সুশান্ত করাতি বলেছেন, ক্রেতাদের বাড়ি কোথায় তা আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব নয়। আমাদের পানশালা বা দোকানে কেউ খেতে এলে বা মদ কিনতে এলে আমরা বিক্রি করি। আমরা শুধু দেখি, ক্রেতার বয়স ২১ বছর হয়েছে কি না। কলকাতায় বন্ধ থাকায় কেউ হাওড়া থেকে মদ কিনে নিয়ে গেলে আমরা কী করতে পারি? আবগারি দপ্তরের এক অফিসার বলেন, ওই সময় হাওড়ায় ভোট ছিল না। ফলে হাওড়া ও হুগলির মদের দোকান বা পানশালা বন্ধ রাখার নির্দেশ ছিল না। ক্রেতার সেই সুযোগ নিয়েছেন। তবে, বৃহস্পতিবার যেহেতু গণনা আছে, তাই ওইদিন সকাল থেকে গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত দোকান বন্ধ থাকবে।
আবগারি দপ্তরের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া রিপোর্টে জানা গিয়েছে, মূলত হাওড়া স্টেশন, কোনা এক্সপ্রেসওয়ে ও ৬ ও ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারের দোকানে ও পানশালায় বিক্রি বেশি হয়েছে। যে দোকানে রোজ গড়ে ৭৫ হাজার টাকার মদ বিক্রি হয়, সেখানে বৃহস্পতিবার রাত থেকে রবিবার রাত পর্যন্ত রোজ গড়ে সাড়ে চার লক্ষ টাকা থেকে পাঁচ লক্ষ টাকার মদ বিক্রি হয়েছে। যে পানশালায় রোজ গড়ে ৬০ হাজার টাকা থেকে ৭০ হাজার টাকার শুধু মদ বিক্রি হয়, সেখানে রোজ গড়ে আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকার মদ বিক্রি হয়েছে। তবে শহরের ভিতরের দিকের দোকানে বিক্রি তেমন বৃদ্ধি পায়নি।
আবগারি দপ্তরের অফিসাররা মনে করছেন, মূলত হাওড়া ব্রিজ ও দ্বিতীয় হুগলি সেতু পার হয়ে যে মদের দোকান ও পানশালা রয়েছে, সেখানেই ক্রেতারা বেশি ভিড় করেছেন। অনেকে পানশালায় মদ খেয়ে অ্যাপ নির্ভর ক্যাবে কলকাতা ফিরে গিয়েছেন। আবার দোকান থেকে মদ কিনে তাও কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে নাকা চেকিংয়ে কেন এই মদ ধরা পড়ল না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। হাওড়া ব্রিজ, দ্বিতীয় হুগলি সেতুর টোল প্লাজায় নাকা চেকিং করা হয়েছিল। সাধারণ যাত্রীদের গাড়ি দাঁড় করিয়ে রীতিমতো তল্লাশি চালানো হয়েছে। তাহলে এই বিপুল পরিমাণ মদ কলকাতায় চলে গেলেও পুলিসের নজরে তা পড়ল না কেন, তা নিয়েও বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে।