বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বুধবারই জেলা নির্বাচনী আধিকারিক তথা জেলাশাসক চৈতালী চক্রবর্তী ও পর্যবেক্ষকরা গণনা কেন্দ্রগুলি ঘুরে দেখেন। তাঁরা পুলিস ও প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠকও করেন। জেলা প্রশাসনের কর্তারা জানিয়েছেন, সরকারিভাবে ফল প্রকাশ হতে কিছুটা দেরি হলেও ইভিএমে গণনার পর কিছুটা ট্রেন্ড বোঝা সম্ভব হবে। তাই ভিভিপ্যাট স্লিপ না গোনা পর্যন্ত সরকারিভাবে ফল প্রকাশ করা হবে না। তবে ট্রেন্ড দেখার পর যাতে রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি না হয়, সেদিকে পুলিস কর্তাদের নজর সবচেয়ে বেশি।
আজ, হাওড়া লোকসভার সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য দু’টি গণনা কেন্দ্র রয়েছে। বালি, উত্তর হাওড়া ও মধ্য হাওড়া বিধানসভা কেন্দ্রের গণনা হবে বালিতে। অন্যদিকে, শিবপুর, দক্ষিণ হাওড়া, সাঁকরাইল ও পাঁচলা বিধানসভা কেন্দ্রের গণনা হবে আইআইইএসটিতে। এবারই প্রথম প্রতিটি বিধানসভার পাঁচটি ভিভিপ্যাটের স্লিপ গণনা হবে। ভিভিপ্যাটের স্লিপের সঙ্গে ইভিএমের ভোট না মেলা পর্যন্ত সরকারিভাবে ফল প্রকাশ করা হবে না। ফলে সরকারিভাবে ফল প্রকাশ হতে বেশ কিছুটা দেরি হতে পারে। তবে বিকালের মধ্যেই জেলার দু’টি লোকসভা কেন্দ্রের চিত্র স্পষ্ট হয়ে যাবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গণনা কেন্দ্রের পাশাপাশি গোটা জেলার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও জেলা প্রশাসন, পর্যবেক্ষক ও পুলিস কর্তারা দফায় দফায় বৈঠক করেছেন। গণনা কেন্দ্রে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। গণনা কেন্দ্রের ভিতরে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কেন্দ্রের বাইরের দায়িত্বে থাকবে রাজ্য পুলিস। সেখানেই গার্ড রেল দিয়ে ব্যারিকেড করে দেওয়া হবে। এরপর ২০০ মিটারের মধ্যে থাকবে পুলিসের অন্য একটি দল। অনুমতিপত্র পরীক্ষা করে তবেই সেখান থেকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হবে। এছাড়া জেলার অন্যত্র যাতে ফলাফল প্রকাশের পর কোনও রকম রাজনৈতিক গোলমাল না ছড়িয়ে পড়ে সেদিকেও কড়া নজর রাখা হয়েছে।
জেলা পুলিস ও হাওড়া সিটি পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, যেহেতু গণনা কেন্দ্রে অতিরিক্ত পুলিস মোতায়েন করা হচ্ছে, তাই কোনও থানা এলাকায় কোনও গোলমাল হলে পার্শ্ববর্তী যে থানা কাছাকাছি হবে, সেই থানা থেকেও পুলিস কর্মী ও অফিসার ঘটনাস্থলে পৌঁছাবে। এছাড়া টহলদারি ভ্যান বিভিন্ন এলাকায় ঘুরবে। পুলিসের এক কর্তা বলেছেন, কোথাও সামান্যতম উত্তেজনার সৃষ্টি হলেই পুলিস কড়া হতে তা মোকাবিলা করবে। গোলমাল সৃষ্টিকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে প্রতিটি থানাকে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।