পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরশুড়া থানার খুশিগঞ্জের বাসিন্দা সন্ধ্যা পাল ১৭ এপ্রিল আরামবাগের মণ্ডলগাছিতে বড় মেয়ের বাড়িতে যান। সেখান থেকে জাঙ্গিপাড়া রাজবলহাটে আরেক মেয়ের বাড়িতে যান। এদিন সকালে জাঙ্গিপাড়া থেকে বাড়ি ফেরার জন্য মেয়ে রুপালিকে নিয়ে চাঁপাডাঙাগামী একটি ট্রেকারে চাপেন। চাঁপাডাঙায় পুরশুড়া যাওয়ার জন্য গাড়ির জন্য অপেক্ষা করার সময় এক যুবক এসে সন্ধ্যাদেবীকে তাঁর ভাইপো বলে পরিচয় দেয়। এরপর তাঁকে জানায় বেকার ভাতার টাকা তুলতে একজন লোক লাগবে। তাই তাঁরা যদি সঙ্গে গিয়ে তুলে দেন।
এরপরেই ওই যুবক মা ও মেয়েকে বাসে করে তারকেশ্বরে নিয়ে আসে। এরপর মাকে বাসস্ট্যান্ডে বসিয়ে রেখে মেয়েকে স্টেশনে নিয়ে গিয়ে বসতে বলে। তারপরেই সন্ধ্যাদেবীকে রিকশয় চাপিয়ে বেকারভাতা তুলতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে নিয়ে যায়। কিছুটা যাওয়ার পরেই এলাকাটা ভালো নয় বলে ভয় দেখিয়ে সন্ধ্যাদেবীকে তাঁর গলার চেন ও হাতের গয়না খুলে ফেলতে বলে। এরপর সেই গয়না নিজের জিম্মায় নিয়ে চাউলপট্টির কাছে একটি দোকানের সামনে সন্ধ্যাদেবীকে বসিয়ে রেখে একটু আসছি বলে ওই যুবক চম্পট দেয়। বেশ কিছুক্ষণ ধরেই স্থানীয় বাসিন্দারা বৃদ্ধাকে অসহায়ভাবে বসে থাকতে দেখে সন্দেহ হয়। অসহায় ভাবে তারকেশ্বরের চাউলপট্টি এলাকায় বৃদ্ধাকে বসে থাকতে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয় মানুষের। তারপরেই তাঁকে জিজ্ঞাসা করে ঘটনার কথা শোনার পরেই প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারেন। এবং তাঁরাই পুলিসকে খবর দেন ও সন্ধ্যাদেবীর মেয়েকে খুঁজে দেন। পরে সন্ধ্যদেবী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
প্রসঙ্গত, তারকেশ্বর এলাকায় বহুদিন ধরেই এই ধরনের প্রতারণা চক্র সক্রিয় রয়েছে। সমস্যা মেটাতে শহরের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সিসি ক্যামেরা লাগানো হলেও অভিযুক্তরা ধরা পড়েনি।