কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ছাত্রের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ছোটবেলায় জ্বর সহ নানা অসুখে আক্রান্ত হওয়ার পর দেড় বছর বয়সে অদ্রিতের থ্যালাসেমিয়া মেজর রোগ ধরা পড়ে। আর তারপর থেকেই তাকে বছরে ৩-৪ বার রক্ত দিতে কলকাতায় ছুটতে হয়। যদিও শারীরিক এই অসুস্থতা কোনওভাবেই এই তার পড়াশুনায় বাধা আনতে পারেনি। আর যার ফলে প্রথম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত প্রথম ছাড়া দ্বিতীয় হতে হয়নি অদ্রিতকে। মঙ্গলবার মাধ্যমিকের ফল প্রকাশে ৬১৫ নম্বর পেয়ে পাশ করা অদ্রিতের বিভিন্ন বিষয়ে প্রাপ্ত নম্বরগুলো হলো বাংলা- ৮১, ইংরেজি- ৮০, অঙ্ক- ১০০, ভৌত বিজ্ঞান- ৯০, জীবন বিজ্ঞান- ৯০, ইতিহাস- ৮০, ভূগোল- ৯৪। এদিকে ছেলের এই সাফল্যে খুশি অদ্রিতের বাবা, পেশায় শ্যামপুর অনন্তপুর উপ ডাকঘরের পোস্টমাস্টার নীলমণি নেযী। তিনি বলেন, ছোটবেলা ধেকেই থ্যলাসেমিয়ায় আক্রান্ত ছেলেকে রক্ত দিতে কলকাতায় নিয়ে যেতে হত। এমনকী মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর আগের দিনেও এবং ফল প্রকাশের আগে ছেলেকে রক্ত দিতে হয়েছে। তিনি বলেন, ছোটবেলা থেকেই পড়াশুনার প্রতি প্রচুর আগ্রহ থাকায় অল্প সময়েই সে পড়াশুনা মুখস্থ করে ফেলত। এমনকী দিনের থেকে রাতের দিকে পড়াশুনা করাটা অদ্রিতের বেশি পছন্দ ছিল বলেও জানালেন তার বাবা। তবে অন্য বিষয়ের থেকেও অঙ্ক ছেলের প্রিয়। ছেলের ভবিষৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে তাঁর বক্তব্য শারীরিক অসুস্থার কথা মাথায় রেখে অদ্রিত ভবিষ্যতে অধ্যাপনা করতে চায়।
শারীরিক অসুস্থাকে দূরে ঠেলে সরিয়ে দিয়ে পরীক্ষায় এই সাফল্য প্রসঙ্গে অদ্রিত জানায়, মা বাবা সহ সকলের আশীর্বাদ মাথায় নিয়ে যেভাবে এগিয়ে চলেছি তাতে আমি নিশ্চিত আগামী দিনে আমি আমার লক্ষ্যে পৌঁছাব।