পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ছোটবেলা থেকেই পড়াশুনায় মেধাবী জিন্নাতুল্লা বিদ্যালয়ে প্রথম ছাড়া দ্বিতীয় হয়নি। চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত গ্রামের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ার পর টেপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। ছোট একচিলতে টালির চালের ঘরের মধ্যে বাবা শেখ আবুল হোসেনের প্রাইভেট টিউশনির সামান্য উপার্জনে কষ্ট করেই পড়াশুনা করে মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৬৪৬ নম্বর পেয়ে বাবা-মায়ের মুখে হাসি ফুটিয়েছে জিন্না। তার প্রাপ্ত নম্বরের মধ্যে বাংলা- ৯১, ইংরাজি- ৯২, অঙ্ক- ৯৯, ভৌত বিজ্ঞান-৮৬, জীবন বিজ্ঞান-৯৫, ইতিহাস-৯০, ভূগোল-৯৩। ছেলের এই সাফল্য প্রসঙ্গে বাবা শেখ আবুল হোসেন বলেন, আমি গ্রামের পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে ঘুরে প্রাইভেট টিউশন করে যেটুকু উপার্জন করি, তাতে সংসার চালিয়ে ছেলে মেয়ের পড়াশুনার খরচ করি। আর যে কারণে ছেলের জন্য কোনও গৃহশিক্ষক রাখতে পারিনি। যদিও টেপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষক বিনা পয়সায় ছেলেকে পড়ানোয় সে আজ এই সাফল্য পেয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
বাবা আরও বলেন, মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষায় সেভাবে ফল না করতে পারায় এতটা ভালো ফলের আশা আমরা করিনি। জিন্নার পড়াশুনা সম্পর্কে তিনি জানান, প্রতিদিন ঘন্টা ধরে পড়াশুনা না করলেও সকাল ও বিকালে নিয়ম করে পড়তে বসাটা তার ছোটবেলা থেকেই অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল। তবে পাড়শুনার মাঝে ক্রিকেট খেলা ও দেখাটা জিন্নার অন্যতম নেশা বলে দাবি আবুল হোসেনের। তিনি জানান, পড়াশুনার মাঝে সময় পেলেই টিভিতে ক্রিকেট খেলা দেখতে বসে যেত জিন্না।
অন্যদিকে, নিজের এই সাফল্য নিয়ে জিন্নাতুল্লা বলে, পরীক্ষা দেওয়ার পর ভালো ফল হবে এটা আশা করলেও এতটা ভালো হবে এটা ভাবতে পারিনি। ভবিষ্যতে নিজেকে একজন চিকিৎসক হিসাবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে এখন থেকেই প্রস্ততি শুরু করে দিয়েছি বলে জানায় সে। তবে তার কথায়, সবকিছুই নির্ভর করছে পারিবারিক আর্থিক সঙ্গতির উপরে। যদিও বিদ্যালয়ের এই মেধাবী ছাত্রের উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে কোন কিছুই বাধা হয়ে দাঁড়াবে না বলে স্কুল তার পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছে।