বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
হাওড়া পুরসভার কমিশনার তথা প্রশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেছেন, বিভিন্ন রেস্তরাঁর গুণগত মান ও পরিচ্ছন্নতা নিয়ে আমাদের কাছে অনেক অভিযোগ এসেছে। একইসঙ্গে রাস্তার ধারে কাটা ফল ও ফলের রস বিক্রি নিয়েও অভিযোগ এসেছে। ওই রস ও কাটা ফল খেয়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এই নিয়ে আমরা চিন্তিত। পুরসভার স্বাস্থ্য দপ্তরের অফিসারদের নিয়ে কয়েকটি টিম করা হয়েছে। ওই টিম বিভিন্ন রেস্তরাঁ ও রাস্তার ধারে এই ধরনের কাটা ফল ও ফলের রস বিক্রির দোকানে আচমকা হানা দেবে। যেখানেই পরিচ্ছন্নতা ও গুণগত মান নিয়ে সন্দেহ দেখা দেবে, সেখানকার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে। তারপর সেই রেস্তরাঁকে নোটিস দেওয়া হবে। কোনওভাবেই অস্বাস্থ্যকর খাবার বিক্রি করতে দেওয়া হবে না।
হাওড়া শহরে ব্যাঙের ছাতার মতো রেস্তরাঁ গজিয়ে উঠেছে। সবগুলিই যে ঝাঁ চকচকে, তা নয়। পাইস হোটেলও প্রচুর রয়েছে। কিন্তু, ওই সব রেস্তরাঁ ও পাইস হোটেলের পরিচ্ছন্নতা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রশ্ন উঠেছে। পরিচ্ছন্নতাকে শিকেয় তুলে দিনের পর দিন এই হোটেলগুলি চলে আসছে। হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় এমন পাইস হোটেল প্রচুর রয়েছে। এছাড়াও নেতাজি সুভাষ রোড, জি টি রোড, পঞ্চাননতলা রোডের ধারে এমন কয়েকশো পাইস হোটেল রয়েছে। খরিদ্দারদের অভিযোগ, সেগুলি খুবই অপরিচ্ছন্ন। অথচ পরিস্থিতির চাপে তাঁদের সেখানেই খেতে হয়। তা খেয়ে অনেকেই মাঝেমধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, রাস্তার ধারে উনুন জ্বালিয়ে রান্না হচ্ছে। পাশ দিয়ে প্রতি মুহূর্তে ছুটছে বাস, গাড়ি, বাইক। ফলে রাস্তার ধুলো উড়ে এসে পড়ছে হাঁড়ি-কড়াইয়ে। তার মধ্যেই চলছে রান্নার কাজ। সেই খাবারই খরিদ্দারদের পরিবেশন করা হচ্ছে। এই নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, এই নিয়ে পুরসভা এতদিন কোনও পদক্ষেপ করেনি। ফলে এই ধরনের হোটেলগুলি রমরমিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছে।
জানা গিয়েছে, এই নিয়ে পুরসভায় বেশ কিছুদিন ধরেই অনেক অভিযোগ এসেছে। এনিয়ে কমিশনারের কাছেও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। তারপরই পুরসভার কর্তারা নড়েচড়ে বসেছেন। পুরসভার স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তাদের আগে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। পুরসভার অফিসারদের একাংশের সঙ্গে এই ধরনের হোটেল কর্তৃপক্ষের ‘ঘনিষ্ঠতা’র কারণেই পুরসভা এই নিয়ে এতদিন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। কিন্তু, এখন এই নিয়ে একাধিক জায়গা থেকে অভিযোগ আসায় পুরসভার কর্তারা নড়েচড়ে বসেছেন।