কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বরাবরই মাধ্যমিকের চেয়ে উচ্চ মাধ্যমিকে ফল ভালো হয় কলকাতার। তবে, ২০১৭ সালে কলকাতা থেকে মেধা তালিকায় ছিল তিনজন। কলকাতা বারবার জেলাগুলির চেয়ে পিছিয়ে পড়ছে কেন? ফলপ্রকাশের সাংবাদিক বৈঠকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে এ প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এটা তো গবেষণার বিষয়। আপনারাও করুন। যদিও, পরে একটি সংবাদমাধ্যমে গিয়ে তিনি ব্যাখ্যা দিয়েছেন, কলকাতার ছেলেমেয়েরা শীর্ষে থাকতে পারছে না সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে তাদের অতিরিক্ত আসক্তির কারণে।
সার্বিক পাশের হারে অবশ্য দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা (৯২.১৩ শতাংশ)। তবে সেই হার প্রথম স্থানে থাকা পূর্ব মেদিনীপুর (৯৬.১০ শতাংশ)-এর চেয়ে অনেকটাই কম। শিক্ষকরা কমবেশি একই কথা বলছেন। তাঁদের বক্তব্য, শহরের মেধাবী পড়ুয়াদের বড় অংশই আইসিএসই বা সিবিএসই স্কুলে পড়াশোনা করছে। সে কারণেই মেধাতালিকায় কলকাতার প্রতিনিধিত্ব দিন দিন কমছে। তবে উচ্চ মাধ্যমিকে ফের নিজের সাফল্য প্রমাণ করতে পারবে কলকাতা। এটা কীভাবে সম্ভব হয়? অনেকের ব্যাখ্যা, কলকাতার সরকারি বা সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে এখনও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের মান ভালো। ল্যাবরেটরি এবং অন্যান্য পরিকাঠামোও বেশ উন্নত। তার একটা প্রভাব পড়ে। তাছাড়া, পার্শ্ববর্তী জেলা থেকেও মেধাবী পড়ুয়ারা কলকাতার স্কুলগুলিতে এসে ভর্তি হয়। এমনকী, একাদশ-দ্বাদশে আইসিএসই এবং সিবিএসই স্কুলগুলি থেকেও সরকারি স্কুলে ভর্তি হওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়।