কর্ম বা গৃহক্ষেত্রে অশান্তি মনঃকষ্ট হতে পারে। পেশাদারী কর্মে সুনাম। মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: জন্মেই দৃষ্টিহীন। প্রতিবন্ধকতা নিয়েই পড়াশোনা চালিয়েছে দুর্গাপুরের শুভদীপ মণ্ডল। গ্রামের পড়শিদের কাছ থেকে নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন ব্লাইন্ড বয়েজ স্কুলের নাম শুনে বাবা আদিত্য মণ্ডল ছেলেকে দুর্গাপুর থেকে এখানে প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি করেন। তারপর থেকে ধারাবাহিকভাবেই ফলাফল ভালো করেছে। মাধ্যমিকেও সেই ধারা বজায় রেখে স্কুলের মধ্যে প্রথম হল সে। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা মাধ্যমিকে ৯০ শতাংশের উপরে নম্বর পেয়ে সে সেরা হয়েছে। নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন ব্লাইন্ড বয়েজ স্কুল প্রতিষ্ঠার পর থেকে গতবছর প্রথমবার মাধ্যমিকে কোনও ছাত্র ৯০ শতাংশ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছিল। সেই সাফল্যের ধারা বজায় এবছরেও। স্বাভাবিকভাবেই স্কুলের পর পর দু’বছরের রেকর্ডে উৎফুল্ল প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ ঘোষ। তিনি বলেন, এবছর মোট ১৪ জন পরীক্ষা দিয়েছিল আমাদের স্কুল থেকে। ৬ জন ৯০ শতাংশের এবং ৮ জন ৮০ শতাংশের উপরে নম্বর পেয়েছে।
এদিন রেজাল্ট জেনে স্কুলেই ছেলে শুভদীপকে জড়িয়ে ধরেন দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের কর্মী আদিত্যবাবু। বলল, ছোট থেকে পড়াশুনা করতে ভালোবাসে আমার ছেলে। দৃষ্টিহীন হওয়ায় মনটা খুব খারাপ থাকত। তবে ও চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে। তারই ফল মিলল জীবনের প্রথম পরীক্ষায়। বাবার পাশে শুভদীপ বলল, বাংলা ও ইংরেজি নিয়ে পড়তে ভালোবাসি। তবে সব কিছুর শেষে একজন ভালো মানুষ হওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। যাকে প্রত্যেকে সম্মান করবে। কী হওয়ার ইচ্ছা? উত্তরে শুভদীপ বলল, আমি গায়ক হতে চাই। মান্না দে’র গানের আমি ভক্ত। পুরনো গান খুব ভালোবাসি। সিন্থেসাইজার বাজাই। তার কথা শুনেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বললেন, আমাদের স্কুলের যে সঙ্গীতের দল রয়েছে, তার অন্যতম গায়ক ও সিন্থেসাইজার শিল্পী শুভদীপ। খুব সুন্দর গানের গলা ওর।
শুভদীপের কথায়, দৃষ্টিশক্তির অসুবিধা রয়েছে। কিন্তু অক্ষম নই। শুভদীপের এক দিদি রয়েছেন। তিনি বায়ো মেডিক্যাল নিয়ে পড়াশুনা করছেন। মা তনুশ্রী মণ্ডল গৃহবধূ। ছেলের সাফল্যে তিনিও উচ্ছ্বসিত।
উল্লেখযোগ্য রেজাল্ট শুভদীপের। সে অঙ্কে ৯৯, পদার্থবিদ্যায় ৯৬, জীবন বিজ্ঞানে ৯৮, ইংরেজিতে ৯৩, ভূগোলে ৯০, ইতিহাসে ৯৭ এবং বাংলায় ৯৩ নম্বর পেয়েছে। তার কথায়, শুধু পড়াশুনাই নয়, আমি গল্প-উপন্যাস পড়তেও ভালোবাসি। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় আমার পছন্দের। বাদ দিই না গোয়েন্দা কাহিনীও। ব্যোমকেশ, ফেলুদা, এমনকী শার্লস হোমস পেলেই পড়ি।
ভালো সিন্থেসাইজার বাদক হিসেবে ইতিমধ্যেই খ্যাতি অর্জন করেছে শুভদীপ। স্কুলের হয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে দর্শকদের মন কেড়েছে সে। তার কথায়, এই সাফল্য শুধু আমার নয়। আমাকে যে শিক্ষকরা সাহায্য করেছেন, যে বড় দাদারা আমায় পড়িয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকের। ৬-৭ ঘণ্টা করে পড়তাম। বাকি সময়টা স্কুলের গ্রন্থাগারে কাটাতাম।
এদিন রেজাল্ট জেনে স্কুলেই ছেলে শুভদীপকে জড়িয়ে ধরেন দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের কর্মী আদিত্যবাবু। বলল, ছোট থেকে পড়াশুনা করতে ভালোবাসে আমার ছেলে। দৃষ্টিহীন হওয়ায় মনটা খুব খারাপ থাকত। তবে ও চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে। তারই ফল মিলল জীবনের প্রথম পরীক্ষায়। বাবার পাশে শুভদীপ বলল, বাংলা ও ইংরেজি নিয়ে পড়তে ভালোবাসি। তবে সব কিছুর শেষে একজন ভালো মানুষ হওয়ার ইচ্ছা রয়েছে। যাকে প্রত্যেকে সম্মান করবে। কী হওয়ার ইচ্ছা? উত্তরে শুভদীপ বলল, আমি গায়ক হতে চাই। মান্না দে’র গানের আমি ভক্ত। পুরনো গান খুব ভালোবাসি। সিন্থেসাইজার বাজাই। তার কথা শুনেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক বললেন, আমাদের স্কুলের যে সঙ্গীতের দল রয়েছে, তার অন্যতম গায়ক ও সিন্থেসাইজার শিল্পী শুভদীপ। খুব সুন্দর গানের গলা ওর।
শুভদীপের কথায়, দৃষ্টিশক্তির অসুবিধা রয়েছে। কিন্তু অক্ষম নই। শুভদীপের এক দিদি রয়েছেন। তিনি বায়ো মেডিক্যাল নিয়ে পড়াশুনা করছেন। মা তনুশ্রী মণ্ডল গৃহবধূ। ছেলের সাফল্যে তিনিও উচ্ছ্বসিত।
উল্লেখযোগ্য রেজাল্ট শুভদীপের। সে অঙ্কে ৯৯, পদার্থবিদ্যায় ৯৬, জীবন বিজ্ঞানে ৯৮, ইংরেজিতে ৯৩, ভূগোলে ৯০, ইতিহাসে ৯৭ এবং বাংলায় ৯৩ নম্বর পেয়েছে। তার কথায়, শুধু পড়াশুনাই নয়, আমি গল্প-উপন্যাস পড়তেও ভালোবাসি। শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় আমার পছন্দের। বাদ দিই না গোয়েন্দা কাহিনীও। ব্যোমকেশ, ফেলুদা, এমনকী শার্লস হোমস পেলেই পড়ি।
ভালো সিন্থেসাইজার বাদক হিসেবে ইতিমধ্যেই খ্যাতি অর্জন করেছে শুভদীপ। স্কুলের হয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে দর্শকদের মন কেড়েছে সে। তার কথায়, এই সাফল্য শুধু আমার নয়। আমাকে যে শিক্ষকরা সাহায্য করেছেন, যে বড় দাদারা আমায় পড়িয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেকের। ৬-৭ ঘণ্টা করে পড়তাম। বাকি সময়টা স্কুলের গ্রন্থাগারে কাটাতাম।
