বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
মঙ্গলবার সকালে মাধ্যমিকের ফল বের হওয়ার পর থেকেই খুশির হাওয়া অঙ্কনের পরিবারে। সকাল থেকেই অঙ্কনকে শুভেচ্ছা জানাতে পাড়া প্রতিবেশী থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ভিড় বাড়িতে। পাশাপাশি বাড়িতে আসা শুভ্যানুধায়ীদের কাছে থেকে অভিনন্দন পেয়ে আপ্লুত অঙ্কন। কৃতী ছাত্রের পরিবার সূত্রে খবর ছোটবেলা থেকেই অঙ্কন মেধাবী থাকায় ছোট থেকেই পড়াশুনার প্রতি তার আগ্রহ ছিল । বাড়ির পাশের একটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পড়াশুনা করার পর পঞ্চম শ্রেণী থেকে মহিয়াড়ি কুন্ডু চৌধুরী ইনস্টিটিউশনে ভর্তি হয় অঙ্কন। আর পঞ্চম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত বিদ্যালয়ে পড়াকালীন প্রতিটি পরীক্ষায় প্রথম স্থান দখল করে এসেছে এই ছাত্র। আর সেই ধারাকে বজায় রেখে জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষাতেই সাফল্য।
এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলে অঙ্কনের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৫-র মধ্যে বাংলা- ৯৮, ইংরেজি- ৯৯, অঙ্ক- ১০০, ভৌত বিজ্ঞান- ৯৯, জীবন বিজ্ঞান- ৯৩, ইতিহাস- ৯৯, ভূগোল-৯৭। অন্যদিকে নিজের এই ফল সম্পর্কে অঙ্কনের বক্তব্য পরীক্ষায় ১ থেকে ১০-এর মধ্যে থাকার আশা থাকলেও ষষ্ঠ হওয়াটা তার ধারণার মধ্যে ছিল না তবে এই ফলে সে খুশি। তার মতে এই সাফল্যের পিছনে পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অবদান অনেকটা প্রযোজ্য। যদিও তার দাবি প্রতিদিন নিয়ম করে পড়াশোনা না করলেও সময় ভাগ করে নিয়ে ১২/১৪ ঘন্টা পড়াশুনা করত। অবশ্য এর জন্য বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের ৭ জন শিক্ষক তাকে সাহায্য করত। এদিন অঙ্কন জানায়, মহিয়াড়ি কুন্ডু চৌধুরী ইনস্টিটিউটে থেকেই জীবন বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশুনা করার পাশাপাশি ভবিষ্যতে নিজেকে একজন চিকিৎসক হিসাবে সমাজে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছি।
অন্যদিকে, ছেলের এই সাফল্য সম্পর্কে অঙ্কনের মা সর্বানী চক্রবর্তী ও বাবা অক্ষয় চক্রবর্তী জানান, ছোটবেলা থেকে ছেলের পড়াশুনার প্রতি আগ্রহ দেখে আমাদের আশা ছিল মাধ্যমিক পরীক্ষায় অঙ্কন ভালো ফল করবে। পড়াশুনার পাশাপাশি কার্টুন দেখা ও হাতের কাজ তৈরি করাটা তার ছেলের নেশা বলে জানান অঙ্কনের বাবা মা।