বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
২৯ নম্বর রেল গেটের কাছে ভাটপাড়া বিধানসভা নির্বাচন কমিটির তৃণমূলের চেয়ারম্যান ধরমপাল গুপ্তার বাড়ি রয়েছে। অভিযোগ, অবরোধকারীদের একাংশ দল বেঁধে এসে তাঁর বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। ধরমপালের ছেলে অমিত গুপ্তা বলেন, অর্জুন বাহিনী গোটা এলাকায় তাণ্ডব চালাচ্ছে। এলাকায় লুঠতরাজ চালাচ্ছে। ২৯ নম্বর রেল গেটের কাছে আমাদের বাড়ি। বাড়িতে বাবা আছে মনে করে অবরোধকারীদের একটা অংশ জোট বেঁধে এসে বাড়িতে হামলা চালায়। ভিতরে লোহার গেট ভেঙে ঢুকতে পারেনি। বাইরে থেকে তারা এলোপাথাড়ি ইট, পাথর ছোঁড়ে। বাড়ির ভিতরে থাকা চারচাকা গাড়িতে ভাঙচুর চালায়, দুটি বাইক ও একটি স্কুটারে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। আর বিজেপির বক্তব্য, ১৪৪ ধারা জারির পরও টিনা গুদাম, কাঁটাডাঙা, চালতা রোড সহ একাধিক জায়গায় তৃণমূল বাহিনী দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। বোমাবাজি করছে। লুটপাট চালাচ্ছে। কোনও রাজনৈতিক ব্যানারে নয়, এলাকার সাধারণ মানুষ তৃণমূলের অত্যাচারে আতঙ্কিত হয়ে এদিন রেল অবরোধে শামিল হয়েছে।
এদিন অশান্ত ভাটপাড়ার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্রকে সঙ্গে নিয়ে দলের জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বিধায়ক পার্থ ভৌমিক, জেলা কার্যকরী সভাপতি নারায়ণ গোস্বামী কাঁদানে গ্যাসের ফেটে যাওয়া একটি খোল নিয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করেন। সেখান থেকে বেরিয়ে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক সংবাদ মাধ্যমকে কাঁদানে গ্যাসের খোল দেখিয়ে বলেন, অর্জুন সিংয়ের নেতৃত্বে তার নিরাপত্তারক্ষীরা ভাটপাড়ায় সাধারণ মানুষের উপর এই ধরনের শেল ফাটাচ্ছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অর্জুনকে গ্রেপ্তার করতে হবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ও গ্রেপ্তার না হলে সাধারণ মানুষ ভাটপাড়া অভিযান করবে।
অন্যদিকে, বিজেপি নেতা অর্জুন সিং সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বদলা নেওয়ার কথা বলার পর থেকে এখানে হামলা চলছে। পুলিস কমিশনার, থানার ওসিকে না সরালে এখানে শান্তি ফিরবে না। পুলিস প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে হবে। সেটা এখানে করা হচ্ছে না। আমাকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি, পুলিসের সামনে আমার বাড়ির সামনে বোমাবাজি হয়েছে। তৃণমূল বাহিনী টিনা গুদামে বহু মানুষের বাড়ি ভাঙচুর করে এলাকা ছাড়া করে দিয়েছে। এলাকা পরিদর্শনের জন্য রাজ্যপালের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছি।