গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর থানার নেতাজিপল্লীর বাসিন্দা বুবাই ঘোষের সঙ্গে নৈহাটির সোমা ঘোষের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর তারা মাস তিনেক আগে বিয়ে করে। কিন্তু বাড়ির লোকজন এই সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় এদিক ওদিক কিছুদিন কাটানোর পর তারা ফেব্রুয়ারি মাসের ১৯ তারিখ চুঁচুড়ার সুজনবাগানে রাজীব গঙ্গোপাধ্যায়ের দোতলা বাড়ির একতলায় ভাড়াটিয়া হিসাবে বসবাস শুরু করেন। বুবাই জানালা-দরজায় কাচ লাগানোর কাজ করতেন। কিন্তু নতুন জায়গায় এসে সেভাবে কাজ পাচ্ছিলেন না। তাই স্বামী স্ত্রী দুজনেই কাজের খোঁজ করছিলেন। ওপারে নৈহাটিতে স্ত্রী একটি আয়া সংস্থায় কাজ পাওয়ায় মঙ্গলবার সকালেই তারা সুজনবাগানের বাড়িটি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাবেন বলে বাড়ি মালিককে জানিয়েছিল।
বাড়ি মালিক বলেন, সোমবার দুপুর ১২ টা নাগাদ সোমা ওপারে কাজের সন্ধানে যাচ্ছে বলে বেরিয়ে যায়। বুবাই তাকে ছেড়ে এসে নিজেদের ঘরে ঢুকে যায়। বিকালে আমি স্ত্রীকে ডাক্তার দেখানোর জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাই। এরপর রাত সাড়ে ৮ টা নাগাদ প্রতিবেশীদের কাছ থেকে ফোন পেয়ে তড়িঘড়ি এসে দেখি বাড়িতে পুলিস এসেছে। নীচের ঘরে বুবাইয়ের দেহ পড়ে রয়েছে। কিভাবে যে কি হল কিছুই বুঝতে পারছি না।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, সন্ধ্যার আগে থেকেই নীচের ঘরের জানালা দরজা বন্ধ ছিল। তাই কেউ ঘরে ছিল কি না তা তাঁরা টের পাননি। তবে রাত সাড়ে ৮ টা নাগাদ বাড়ির নিকাশি নালা থেকে রক্ত বেরচ্ছে দেখে সন্দেহ হওয়ায় প্রথমে ডাকাডাকি করি। পরে ভেতরে গিয়ে গোটা ঘরে রক্ত ও বাথরুমে ওই ভাড়াটিয়ার দেহ পড়ে থাকতে দেখে তাঁরা পুলিস এবং বাড়ির মালিককে ফোন করে ঘটনার কথা জানান। ঘটনার তদন্তে নেমে বুবাইয়ের দেহ ঘরের ভেতর থেকে রান্নাঘরের মধ্য দিয়ে বাথরুমে নিয়ে যাওয়া হয়েছে দেখে নিশ্চিত হয় তাঁকে খুন করা হয়েছে।
এমনকী তাঁর লেখা একটি ডায়েরি থেকে প্রাথমিকভাবে পুলিস জানতে পেরেছে, বেশ কিছুদিন ধরেই পাওনাদারদের কাছ থেকে কাজের টাকা চাওয়ায় হুমকি দেওয়া হয়েছিল। টাকা না পাওয়ায় বাবলুও নিজের ধারদেনা শোধ করতে না পারার জন্য হতাশায় ভুগছিলেন। অন্যদিকে বাবলুর পরিবার তাঁদের ছেলেকে খুনের পেছনে তার স্ত্রী জড়িত বলে পুলিসের কাছে দাবি জানিয়েছে। তাই তাকেও সন্দেহের তালিকায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।