পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কীভাবে কাজ করবে নয়া ব্যবস্থা? মেট্রোর এক কর্তা বলেন, এই ব্যবস্থায় টিকিট কাটার জন্য একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। সেই অ্যাপটি তৈরি করছে ‘ক্রিশ’। অ্যাপে টিকিটের দাম মেটানোর ‘গেটওয়ে’ থাকবে। দাম মিটিয়ে টিকিট কাটলেই একটি কিউআর কোড তৈরি হয়ে যাবে। সেই কিউআর কোডটি প্ল্যাটফর্মে ঢোকার মুখে থাকা ফ্ল্যাপ গেটে ‘স্ক্যান’ করলেই খুলে যাবে গেট। একইভাবে প্ল্যাটফর্ম থেকে বেরও হতে পারবেন যাত্রীরা। তার জন্য ফ্ল্যাপ গেটগুলিতেও প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরি করা হবে।
কর্তাদের বক্তব্য, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় এই ব্যবস্থা চালু হলে টিকিট কাউন্টারের সামনে ভিড় অনেকটাই কমে যাবে। কারণ, বর্তমানে স্মার্ট ফোন এবং ইন্টারনেট ব্যবহারে মানুষ যেভাবে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে, তাতে যাত্রীমহলে এই ব্যবস্থা বেশ জনপ্রিয় হবে। এর ফলে কাউন্টারের সামনে অযথা দাঁড়িয়ে সময় নষ্ট করতে হবে না যাত্রীদের।
কবে চালু হবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো? মেট্রো রেল সূত্রের খবর, এই রুটের রেকগুলি যাত্রী পরিবহণের উপযোগী বলে ছাড়পত্র দিয়েছে ‘কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি’। পরিষেবা শুরুর আগে এটা অবশ্যই একটা বড় ধাপ। আপাতত ‘ইন্ডিপেনডেন্ট সেফটি অথরিটি’র নির্দেশ মতো সিগন্যালিং ব্যবস্থা পরীক্ষার কাজ চলছে। প্রতিদিন চারটি ট্রেনকে চালানো হচ্ছে পরীক্ষামূলকভাবে। ওই সংস্থা মোট এক হাজার ঘণ্টা ট্রেন চালানোর কথা বলেছিল। সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। জুন মাসের প্রথম দিকে ওই সংস্থাকে রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। এরপর ওই সংস্থাটি রিপোর্ট পর্যালোচনা করে অনুমোদন দেবে।
কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেড (কেএমআরসিএল)-এর এক কর্তা বলেন, বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চালানোর জন্য ‘কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি (সিআরএস)’র অনুমোদন দরকার। সেই অনুমোদনের জন্য জুন মাসে আবেদন করা হবে। সব মিলিয়ে যে গতিতে এখন কাজ চলছে, তাতে জুলাই মাস থেকে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চালানো যেতে পারে। ইতিমধ্যেই এই মেট্রো রুটে ভাড়ার তালিকা ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। বাকি পরিকাঠামো এবং কর্মীদের প্রশিক্ষণপর্ব চলছে জোরকদমে। তিনি বলেন, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো পথে দ্বিতীয় পর্যায়ে সল্টলেক স্টেডিয়াম থেকে ফুলবাগান পর্যন্ত ট্রেন পরিষেবা সম্প্রসারিত হবে চলতি বছরের মধ্যেই। দুর্গাপুজোর আগে বা পরে এই অংশে পরিষেবা চালু হয়ে যাবে। তার জন্য শীঘ্রই ট্রায়াল রান শুরু হবে। সল্টলেক স্টেডিয়াম স্টেশন থেকে কিছুটা এগিয়ে ফুলবাগানমুখী লাইন ঢুকেছে মাটির নীচে। সেই পথে ফুলবাগান ও পরবর্তী স্টেশন শিয়ালদহের মাঝে থাকা ক্রশওভার পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালানো হবে।