রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
মঙ্গলবার ভারতীয় সময় সকাল ৬টা ৩৮ মিনিটে তিনি ২৪তম বারের জন্য এভারেস্ট শৃঙ্গে উঠলেন। সেভেন সামিট ট্রেকসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, একটি ভারতীয় দলের গাইড হিসেবে এদিন তিনি ২৪তম বারের জন্য এভারেস্ট শৃঙ্গে উঠেছেন। গত ১৫ মে ২৩তম বারের জন্য এভারেস্ট শৃঙ্গে উঠে নয়া রেকর্ড করেছিলেন তিনি। এদিন নিজেই নিজের সেই রেকর্ডকে ভেঙে নয়া বিশ্বরেকর্ড গড়লেন। সেভেন সামিটের পক্ষে তাশি লাকপা শেরপা জানিয়েছেন, ভারতের একটি পুলিসদলের কয়েকজন পর্বতারোহীকে নিয়ে তিনি ২৪তম বারের জন্য এভারেস্টের শৃঙ্গের উদ্দেশে বেরিয়েছিলেন। এদিন সকালে তিনি সফল হয়েছেন। এখন উনি নিরাপদে এবং সুস্থ রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, নেপালের সোলুখম্বু এলাকার থামে গ্রামে জন্মগ্রহণ করা কামি প্রথম থেকেই শেরপা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন। সেই লক্ষ্যেই ১৯৯৪ সালে প্রথম এভারেস্ট অভিযানে গিয়েছিলেন তিনি। সেবার সফলভাবে অভিযান শেষ করার পর তিনি ঠিক করেছিলেন, এভারেস্টই হবে তাঁর মূল গন্তব্য। তাই অন্যান্য আট হাজার মিটার শৃঙ্গ জয়ে তিনি কোনওদিনই বেশি আগ্রহ দেখাননি। কয়েকবার অভিযাত্রী দলকে নিয়ে চো-ইউ অভিযান করেছেন ঠিকই। কিন্তু, নজর সব সময় ছিল এভারেস্টের দিকেই।
১৯৯৭ সাল থেকে সেই লক্ষ্যকে আরও মজবুত করে নেন তিনি। সেই থেকে ২০১৯ পর্যন্ত প্রায় প্রতিবছরই কোনও না কোনও পর্বতশৃঙ্গ অভিযানে গিয়েছেন। সফলও হয়েছেন প্রত্যেকবার। যার মধ্যে ২৩বার আরোহণ করেছেন এভারেস্ট। আটবার সফলভাবে অভিযান করেছেন চো-ইউ পর্বতশৃঙ্গ। এছাড়াও একবার করে লোৎসে, মানাসলু এবং কে ২ বা গডউইন অস্টিনেও সফলভাবে অভিযান করেছেন তিনি। এভারেস্ট অভিযানের ক্ষেত্রে ২০০১ এবং ২০১১ সাল বাদ দিলে, ১৯৯৭ সাল থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে প্রত্যেকবারই সফল হয়েছেন তিনি। এর মধ্যে আবার ২০০৯, ২০১০ এবং ২০১৩ সালে একইবছরে দু’বার সফলভাবে এভারেস্ট অভিযান করেছেন। ২০১৭ সালে তিনি এভারেস্ট জয়ের তৎকালীন বিশ্বরেকর্ড ২১ বার (আপা শেরপা এবং ফুরা তাশি শেরপা, দু’জনেই আর পর্বতারোহণ করেন না) স্পর্শ করেছিলেন। ২০১৮ সালে তিনি নয়া রেকর্ড করেন। ২০১৯ সালে নয়া রেকর্ড। এখন তাঁর লক্ষ্য, ২৫বার এভারেস্ট শৃঙ্গ আরোহণ। পিছনে কয়েকজন থাকলেও, রেকর্ড ভাঙা নিয়ে ভাবিত নন কামি রিটা শেরপা।