গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই শাসকদলের নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় মানিকতলা, ফুলবাগান এলাকায় একাধিক গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। এলাকা কার দখলে থাকবে, তা নিয়ে এক গোষ্ঠীর সঙ্গে অন্য এক গোষ্ঠীর বিবাদও ক্রমে বেড়েছে। শুধু এলাকা দখলই নয়, গত দু’-আড়াই বছরে সিন্ডিকেটের রমরমা হয়েছে। ফলে প্রোমোটিং ও সিন্ডিকেটের দখলদারি নিয়ে ভোটের আগে মাঝেমধ্যেই সংঘর্ষে জড়িয়েছে দুই গোষ্ঠী। রবিবার রাতে যে দুই গোষ্ঠী সংঘর্ষে জড়িয়েছে, তাদের মধ্যে আগে থেকেই সিন্ডিকেটের দখল নিয়ে ঝামেলা ছিল। যার বাড়বাড়ন্ত হয় ভোটকে ঘিরে। এলাকার তৃণমূল নেতাদের একাংশের বক্তব্য, রবিবার তৃণমূলের একটি গোষ্ঠী ভোটারদের বুথে যেতে বাধা দেয়। আবার অন্য গোষ্ঠীর লোকজন ওই ভোটারদের বুথে নিয়ে গিয়েছিল। যারা পথ আটকে ছিল, তাদের দাবি, তালিকায় নাম থাকলেও ওই ভোটাররা এলাকায় থাকেন না। তাই আটকানো হয়েছিল। এরা সবই ভুয়ো ভোটার ছিল। এলাকায় শান্তির পরিবেশ বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কাতেই পথ আটকানো হয়েছিল। কিন্তু যে গোষ্ঠী ভোটারদের নিয়ে এসেছিল, তারা রীতিমতো হুজ্জতি চালিয়ে তাঁদের দিয়ে ভোটদান করায়। যে গোষ্ঠীর লোকজন ভোটারদের নিয়ে এসেছিল, তাদের অভিযোগ, ওই ভোটদাতারা ভোট দেওয়ায় তাঁদের হুমকি দেওয়া হয়। বাড়ি ভাঙচুর করবে বলেও জানায়। সেই সময়ে এ নিয়ে দু’পক্ষ বচসায় জড়িয়ে পড়ে। কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিসের হস্তক্ষেপে বিষয়টি তখনকার মতো ধামাচাপা পড়লেও, ভোটপর্ব শেষে সংঘর্ষে তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। মারপিটের সময় একটি গোষ্ঠী অন্য গোষ্ঠীর ক্লাবঘর ভাঙচুর করে। টিভি, আসবাব, বিভিন্ন সামগ্রী তছনছ করা হয়। বাদ যায়নি শাসকদলের কার্যালয়ও। দলীয় নেত্রীর ছবি, পতাকা, কাগজপত্র ছিঁড়ে তুমুল তাণ্ডব চালানো হয়। লাঠি, লোহার রড নিয়ে মারপিটের পাশাপাশি বাল্বও ছোঁড়া হয়। লোহার রডের আঘাতে তিন যুবকের মাথা ফেটে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনজন লুটিয়ে পড়ে। মেয়েদেরও বাড়ি থেকে বের করে এনে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। দু’পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উপর শাসকদলের নেতাদের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। যেকারণে মানিকতলা ও ফুলবাগানে মাঝেমধ্যেই তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী মারপিটে জড়িয়ে পড়ছে। সাধনবাবুর কথায়, ঝামেলা চলছিল। কিন্তু ভোট শেষে আমাদের সমর্থকরা এভাবে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়বে, তা আঁচ করতে পারিনি।