কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বেঞ্চ বলেছে, বিচারবিভাগীয় নির্দেশ বা অভিমত কার্যকর করা হলে, কোনওভাবেই তা নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক অধিকারকে খর্ব করে না। তেমন মনে করলে, রাজ্য সরকার কমিশনকে আদালতের অভিমত চিঠি দিয়ে জানাতে পারত। যদি কমিশন তার ভিত্তিতে কোনও পদক্ষেপ না করত, তখন আদালত বিষয়টি অন্যভাবে বিবেচনা করতে পারত। বেঞ্চ সাফ জানিয়েছে, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে আদালত কারওর বিরুদ্ধেই নির্দেশ বা সাজা দিতে নারাজ। কিন্তু, যে পাঁচ পুলিস কর্তার নাম আদালতের ১০ মে’র নির্দেশে ছিল, তাঁদের হলফনামা দিয়ে বক্তব্য জানানোর সুযোগ দেওয়া হলেও তাঁরা তা গ্রহণ করেননি। এই ব্যাখ্যা দিয়ে বেঞ্চ সরকারপক্ষের আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেছেন, যে ছাতা দিয়ে ওই পুলিস কর্তাদের আড়াল করার চেষ্টা করুন না কেন, তা টিকবে না। কারণ, এমন কোনও পূর্ব উদাহরণ নেই, যেখানে পুলিস আগ্রাসী ভূমিকা নিয়ে আদালত চত্বরে হামলা করেছে। এমন নয় যে, পুলিস সেদিন সন্ত্রাসবাদীদের তাড়া করে আদালত চত্বরে ঢুকে পড়েছিল! যৌক্তিকতা লঙ্ঘিত হলে, তা গ্রহণযোগ্য নয়।
বেঞ্চ এদিন এভাবে তার মনোভাব ব্যক্ত করার পাশাপাশি রাজ্য বার কাউন্সিলের উদ্দেশে বলেছে, এই আইনজীবী সংগঠন এবার সদর্থক পদক্ষেপ করুক। জবাবে কাউন্সিলের তরফে বলা হয়, তাদের অন্তত পাঁচজন সদস্য উত্তরবঙ্গে। তাঁরা মঙ্গলবারের বৈঠকে যোগ দিতে আসবেন। তার আগে বৈঠক করা কঠিন। তাই মঙ্গলবার এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই অবস্থায় বেঞ্চ এও বলেছে, আমরা সম্মানীয় এক পেশার সঙ্গে যুক্ত। কোনও অবস্থাতেই আমরা গুন্ডাদের মতো আচরণ করতে পারি না। তবে দু’-একজন এক্ষেত্রেও থাকতে পারে। এঁদের ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। হতে পারে এঁরা সংখ্যালঘু। কিন্তু, এও মনে রাখতে হবে যে, দু-এক ফোঁটা কেরোসিন এক পাত্র দুধকে দূষিত করে দিতে পারে।
হাইকোর্ট প্রশাসনের তরফে বলা হয়, পুলিস সমাজের রক্ষাকর্তা। অথচ, এই ঘটনায় তাদের যে ভূমিকা দেখা গিয়েছে, তাতে প্রশাসনিক ব্যর্থতাই নজরে এসেছে। বেঞ্চকে তারা জানায়, ২৪ এপ্রিল হাওড়া আদালতের সিজেএম বেলা পৌনে ১১টা নাগাদ হাওড়া থানার ওসিকে পরিস্থিতি সম্পর্কে জানিয়েছিলেন। জেলা বিচারক পুলিস কমিশনারকে বেলা সওয়া ১১টা নাগাদ বিষয়টি জানান। অথচ, তখনও ওই পুলিস কর্তারা কোনও পদক্ষেপ করেননি।
ওদিকে, হাওড়া বার অ্যাসোসিয়েশন সরকারি হলফনামাগুলি পর্যালোচনা করে সেগুলির পরস্পরবিরোধী তথ্য দেখিয়ে দেয় বেঞ্চকে। সেইসঙ্গে দাবি করে, এমন সরকারি তথ্যের বিন্দুমাত্র গ্রহণযোগ্যতা থাকা অনুচিত।