কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত মেটিয়াবুরুজ কলকাতা পুরসভার পাঁচটি ওয়ার্ড (১৩৬ থেকে ১৪১ নং ওয়ার্ড) এবং মহেশতলা পুরসভার ন’টি ওয়ার্ড (এক থেকে সাত এবং নয় ও দশ) নিয়ে গঠিত। অন্যদিকে কলকাতা পুরসভার ৭৫, ৭৬, ৭৮, ৭৯, ৮০, ১৩৩, ১৩৪ ও ১৩৫ নং ওয়ার্ড নিয়ে কলকাতা পোর্ট বা বন্দর কলকাতা দক্ষিণ লোকসভার অন্তর্গত।
চূড়ান্ত স্পর্শকাতর নাদিয়াল, বটতলা স্কুল, হরিমোহন ঘোষ কলেজ, মুদিয়ালি, ধানখেতি, চটকল, ফতেপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে কোথাও বিজেপি’র পতাকা, ক্যাম্প অফিস- কিছুই চোখে পড়ল না। শুধুমাত্র মেটিয়াবুরুজের ভিতর কয়েকটি রাস্তায় তৃণমূল ছাড়াও সিপিএম, কংগ্রেসের পাশাপাশি বিজেপি’র পতাকাও দেখা গেল। অন্যদিকে গোটা বন্দর এলাকাজুড়ে ক্যাম্প অফিসে আড্ডা ও খোসগল্পের মেজাজে দেখা গেল জোড়াফুলের কারিগরদের। এমনকী কলিমুদ্দিন শামস, মহম্মদ আমিনের মতো ডাকসাইটে বাম নেতাদের দাপাদাপি’র স্মৃতি থাকা সত্ত্বেও চূড়ান্ত নিস্প্রভ বামেরাও।
৮০ শতাংশ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় বিজেপি’র সংগঠন বৃদ্ধি কঠিন। কিন্তু এতটাই হাড়ির হাল? পোলিং এজেন্টও দেওয়া গেল না? এ প্রশ্ন করা হলে রবিবার বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, আসলে ক্রিমিনালদের ডেন হল ওই এলাকা। আমাদের দলের পক্ষে রাজনৈতিক কার্যকলাপ করা কঠিন। ক্যাম্প অফিস করে বসতে ভয় পায়। অত্যাচার করবে। তবে জেনে রাখুন, ওখানে আমাদের ভোটাররা কথা না বললেও ভোটের বাক্সে ঠিকই মতাধিকার প্রয়োগ করে আসবেন। আর ২৩ শে’র পর? পরিস্থিতি পাল্টে যাবে। প্রদেশ কংগ্রেসের রাজ্যসভার সদস্য প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, যা বলছেন, ভুল নয়। রাম পেয়ারে রামের মতো নেতার পরবর্তী প্রজন্ম আমরা সময়ে নামাতে পারিনি। তবে তা তৈরি করা হয়নি, সেটা নয়। ভোট খুব একটা কম পাব না আমারা—দেখে নেবেন। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, সংগঠন না থাকলে এমনই সব বেকার যুক্তি দিয়ে যাবেন দিলীপবাবুরা।