রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
রবিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেল, একেবারেই শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণ কেন্দ্র। কোথাও কোনও উত্তেজনা নেই। বোমা-গুলির গন্ধ তো দূর অস্ত একটু অন্যরকম কোনও গন্ধ পেলেই, তা দূর করে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। যা দেখে ভোটের লাইনে দাঁড়ানো এক ভোটার বলেই ফেললেন, ভোটের সময় কোনও পুলিসকে দরকার নেই। হাতেগোনা কয়েকজন কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলেই যথেষ্ট। পাশে দাঁড়ানো আরেক ভোটার বলেন, ওই দেখুন না পঞ্চায়েত ভোটের দিন এখানে দাঁড়িয়ে থেকে সব দেখেছিল পুলিস। তা সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। উল্টে তাঁদের মতো অনেকেই ভোট দিতে পারেননি। সাজিয়ে-গুছিয়ে পুনর্নির্বাচনও করা হয়েছিল। কিন্তু, তার আগে এলাকায় এলাকায় যে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল, তাতে অনেক ভোটাররাই আর ভোট দিতে যাননি। আর আজকে ওই পুলিসকে দেখুন। রাস্তার ওই দূরে সকাল থেকে দাঁড়িয়ে রয়েছে। কেউ একবারও বুথের কাছেও আসছে না। তাই এখানকার ভোটাররাও নিশ্চিন্তেই ভোট দিতে পারছেন।
গত পঞ্চায়েতে এই বুথে ব্যাপক গণ্ডগোল হয়েছিল, সেই খবর আগে থেকেই কমিশনের কাছে ছিল। সেই মতোই এদিনের ভোটে এই বুথ এবং এলাকার জন্য অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। বুথের ভিতরে প্রত্যেকটি জায়গায় একজন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়াও স্কুলের মূল গেটে সর্বক্ষণ দু’জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর অফিসারের কড়া নজরদারি ছিল। একজন ভোটারেরও কার্ড পরীক্ষা না করে ভিতরে যেতে দেওয়া হচ্ছিল না। এতে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়ায় কিছুটা বিলম্ব হচ্ছিল, কিন্তু, তাতেও ভোটারদের কোনও কষ্ট নেই। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা এক মহিলা ভোটার বলেন, কড়া নজরদারির জন্য হয়ত রোদে অনেকক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। কিন্তু, শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দেওয়াটাই আসল। তাই শত কষ্ট হলেও, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকায় খুব খুশি এখানকার ভোটাররা। বিশেষ করে গত পঞ্চায়েতে সব দেখেও নিশ্চুপ থাকা পুলিস এবার এই বুথের কোনও দায়িত্বে না থাকায় সবথেকে বেশি খুশি ভোটাররা।
আরও এক ভোটার বলেন, শুধুমাত্র বুথই নয় কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রতিমুহূর্তে আশপাশের এলাকাতেও টহল দিচ্ছে। যা ভোটারদের আর আশ্বস্ত করেছে। এর ফলে কোনও রাজনৈতিক দলও ভোটারদের উপর প্রভাব খাটাতে পারছে না বলে অভিমত ভোটাররা। এরকম পরিবেশেই তাঁরা সর্বদা ভোট দিতে চান বলে স্পষ্ট বক্তব্য ষাঠোর্ধ্ব এক বৃদ্ধারও।