কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিন অন্যান্য রবিবারের মতোই আপ-ডাউন মিলিয়ে ১১০টি ট্রেন চালানো হয় মেট্রোয়। কিন্তু, দিনভর যাত্রীদের উপস্থিতি তেমন ছিল না। ট্রেন-স্টেশন ছিল অনেকটাই ফাঁকা। কত যাত্রী এদিন পাতালপথে সফর করেছেন, তার সংখ্যা না পাওয়া গেলেও মেট্রোর এক কর্তা বলেন, গরমের জন্য ইদানীং প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না। তাই রবিবার হলেও পাতালপথে যাত্রীর সংখ্যা কমেছে আরও। তার উপর এদিন ভোট থাকায় তার প্রভাবও পড়েছিল যাত্রী সংখ্যায়। আর এক কর্তা বলেন, শহরে তো পুরো ধর্মঘটের চিত্র। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তো বটেই, বহু দোকানপাটও বন্ধ ছিল। ফলে সার্বিকভাবে রাস্তায় যাত্রীর সংখ্যা কম ছিল। মেট্রো রেলও তার বাইরে নয়। তবে এদিন সুষ্ঠুভাবেই পরিষেবা দেওয়া হয়েছে।
মেট্রো সূত্রের খবর, বর্তমানে শনিবার ২২৪টি এবং কাজের দিনে ২৮৪টি ট্রেন চালানো হয়। এসপ্ল্যানেড চত্বর থেকে শিয়ালদহমুখী টানেল কাটার সময় থেকে কাজের দিনে ট্রেনের সংখ্যা কমানো হয়েছে। আগে দিনে ৩০০টি ট্রেন চালানো হতো। এক কর্তা বলেন, পুজোর আগে ফের কাজের দিনে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে।
এদিন সায়েন্স সিটি, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, মিউজিয়াম বন্ধ থাকলেও খোলা ছিল চিড়িয়াখানা। ইদানীং ছুটির দিনগুলিতে শীতকালের মতো ভিড় না হলেও, কিছু দর্শনার্থী চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখেন। এদিন ভিড় ছিল না সেখানেও। চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর আশিস সামন্ত বলেন, গরমে শীতকালের মতো ভিড় হচ্ছে না। রবিবারগুলিতেও ভিড় কম হচ্ছে। গত রবিবার তাও একটু ভিড় হয়েছিল। কিন্তু, এই রবিবার এক থেকে দেড় হাজার দর্শনার্থী এসেছিলেন চিড়িয়াখানায়।
চিড়িয়াখানা সূত্রের খবর, শীতকালে ছুটির দিনগুলিতে ব্যাপক ভিড় হয়। বাচ্চাদের সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন জেলা থেকে আসেন হাজার হাজার দর্শনার্থী। সকাল থেকে চিড়িয়াখানা খোলা থাকা পর্যন্ত ঠাসা ভিড় থাকে। শীতের ছুটির দিনে কম করে ৭০ থেকে ৮০ হাজার দর্শনার্থীর ভিড় হয় সেখানে। সেই তুলনায় এদিনের ভিড় কোনও তুলনাতেই আসে না বলে জানিয়েছেন চিড়িয়াখানার কর্মীদের অনেকেই।