কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এবার গ্রামবাসীর পাল্টা প্রশ্ন, কেন বলুন তো? তারা কোথায় গেল? পুলিস কী তাদের তুলে নিয়ে গিয়েছে? আর ‘সিন্ডিকেটে’র দাদাদের কাউকে তো গত এক সপ্তাহ ধরেই গ্রামে দেখতে পাচ্ছি না। নিউটাউনের ঝাঁ-চকচকে রাস্তা থেকে পাথরঘাটা পঞ্চায়েতের দিকে যাওয়ার পথে শনিবার ভোটের প্রাক্কালে এরকমই থমথমে পরিবেশ দেখা গেল রাজারহাট-নিউটাউনের বিভিন্ন এলাকাতেই। শহুরে চমক ছেড়ে রাজারহাটের একটু গ্রামীণ এলাকায় ঢুকলে ভোটের প্রাক্কালে এরকমই টুকরো চিত্রই ধরা পড়ল।
রাজারহাট-নিউটাউন বিধানসভা এলাকার অন্তর্গত সিন্ডিকেটের গড় বলে পরিচিত যে কয়েকটি এলাকা রয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য থাকদাঁড়ি, নবাবপুর, চকপাচুরিয়া, ঘূণী, জ্যাংড়া সহ একাধিক এলাকাই রয়েছে। অধিকাংশ এলাকাই এদিন থমথমে ছিল। ভোটের প্রাক্কালে রাজনৈতিক ভোট ম্যানেজারদের দাপাদাপি এদিন কোনও এলাকাতেই ছিল না। ফলে ভোটারদের মধ্যে কেমন যেন একটু অন্যরকম ভোটের ‘আশঙ্কা’ দেখা গেল। থাকদাঁড়ি এলাকার এক ভোটারের কথায়, গত এক সপ্তাহ ধরে সিন্ডিকেটের কোনও দাদাকেই এলাকাতে দেখতে পাইনি। পুলিস এলাকায় ঘণ্টায় ঘণ্টায় টহল দিচ্ছে। মোটের উপর শান্তিপূর্ণই রয়েছে এলাকা। তবে এত শান্ত এলাকা হওয়াতেই অনেক আশঙ্কা মনে দানা বাঁধতে শুরু করেছে ভোটারদেরও। বিশেষ করে কেন্দ্রীয় বাহিনী যেভাবে এলাকায় টহল দিচ্ছে তাতে গ্রামের বাসিন্দারা অনেকটাই আশ্বস্ত।
চকপাচুড়িয়া এলাকার এক মহিলা ভোটার বলেন, এবারের ভোটটা একটু অন্যরকম হবে বলেই মনে হচ্ছে। বিশেষ করে চেনা মুখদের অধিকাংশকেই ভোটের বাজারে দেখা যাচ্ছে না। তবে কিছু অচেনা মুখদের মাঝেমধ্যে এলাকায় আনাগোনা দেখা যাচ্ছে বলেই তাঁদের দাবি। রাজারহাট গ্রামীণ এলাকায় তো শনিবারই মনে হল যেন অলিখিত ভোটের বন্ধ শুরু হয়ে গিয়েছে। মোড়ের মাথায় গাছতলা ছাড়া বিশেষ কাউকেই দেখা যাচ্ছে না। রাস্তাঘাটও প্রায় শুনশান। স্থানীয় সূত্রের দাবি, লাউহাটি এলাকার মূল ভোট ম্যানেজাররা ময়দানে থাকলেও, তাদের বেশ কয়েকজনই এবারের ভোটে অংশগ্রহণ করবে না বলেই বাসিন্দারা মনে করছেন। আবার উল্টোদিকে, থাকদাঁড়ি এবং নবাবপুর এলাকারও স্থানীয় ভোট ম্যানেজাররা এবার নামবে না বলেই এলাকায় শোনা যাচ্ছে বলে বাসিন্দারা জানিয়েছেন। তবে চকপাচুড়িয়াতে বাইরে থেকে দু’জন ভোট ম্যানেজার এসেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। জগৎপুর, শুলুংগুড়ি সহ জ্যাংড়া এলাকার একটি বিস্তীর্ণ অংশে ভোট ম্যানেজারদের একটা বড় অংশ অন্য শিবিরের হয়ে এবার ভোট করাতে পারে, এই আশঙ্কায় প্রবল প্রতিরোধ থেকে গণ্ডগোলও হতে পারে বলে বাসিন্দারা আতঙ্কিত। বিরোধীরা দাবি করেছে, নতুনপুকুর, বনমালিপুর, ছাপনা, চাঁদপুরের বাজেতরফ, লাউহাটি, পানাপুকুর প্রভৃতি এলাকার বুথগুলিতে গণ্ডগোল হতে পারে। সেই মর্মে নির্বাচন কমিশনের কাছে ওই এলাকায় আরও কড়া নজরদারি চালানোর দাবি তোলা হয়েছে বিরোধীদের পক্ষ থেকে।