বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিন তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়ে দেয়, কাউন্টিং হলের মধ্যে বিজেপি গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করতে পারে। তাই সেই দিকে নজর রাখতে হবে। এমনকী, গোলমাল পাকিয়ে গণনায় ভুল করিয়ে দেওয়ার চেষ্টাও হতে পারে। তাই গণনা কেন্দ্রের মধ্যে কোনওভাবেই এজেন্টরা যাতে টেবিল থেকে না সরেন, সেদিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে।
জেলা তৃণমূলের সভাপতি (সদর) অরূপ রায় বলেন, আমাদের কর্মীরা আগে অনেকবার কাউন্টিং এজেন্ট হয়েছেন। কিন্তু, এবার গুরুত্ব বিশেষ রকম। এবার বিজেপি না না রকম চক্রান্ত করছে। আমরা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছি, গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেউ যাতে টেবিল থেকে না সরেন। এমনকী, ভিতরে যদি কেউ জল বা খাবার দেন, তা যেন আমাদের কর্মীরা না নেন।
হাওড়া লোকসভার সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রে একই সঙ্গে গণনা শুরু হবে। প্রতিটি বিধানসভার জন্য ১৫টি বা ১৬টি করে টেবিল থাকবে। প্রতি টেবিলে একজন করে এজেন্ট বসতে পারবেন। সেই হিসেবে ১০৫ বা ১১২ জন এজেন্ট প্রতিটি দলের থাকবে। এছাড়া প্রার্থী ও তাঁর নির্বাচনী এজেন্ট ভিতরে থাকতে পারবেন। তবে উল্লেখযোগ্য হল, এবার হাওড়া লোকসভায় তৃণমূলের চারজন ‘ডামি’ প্রার্থী রয়েছেন। তাঁদের এজেন্ট, ওই ডামি প্রার্থী ও তাঁদের নির্বাচনী এজেন্টরাও ভিতরে থাকবেন। অর্থাৎ বেসরকারিভাবে প্রতিটি টেবিলে তৃণমূলেরই পাঁচজন এজেন্ট থাকবেন। মূলত এই এজেন্টদের নিয়েই এদিন বৈঠক হয়েছে।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, যাঁরা কাউন্টিং এজেন্ট হিসেবে বসছেন, তাঁদের স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, গণনা চলার সময় কোনও কারণেই বাইরে বের হওয়া চলবে না। গণনা শেষ হওয়ার পর তাঁরা বের হতে পারেন। তাছাড়া গণনায় নিযুক্ত অফিসাররা তখন বিরতি হিসেবে জানাবেন, তখন তাঁরা বাইরে বের হতে পারবেন। আবার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই তাঁদের গণনা কেন্দ্রে ঢুকে পড়তে হবে।
ইতিমধ্যেই জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে, এই গরমে যেহেতু গণনা হবে, তাই গণনা কেন্দ্রে যাতে পর্যাপ্ত পাখা রাখা হয়। এছাড়া পানীয় জলের ব্যবস্থাও যাতে করা হয়। কারণ তা না হলে গণনায় থাকা এজেন্টরা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। গণনা কেন্দ্রের ভিতরে পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা রাখা হবে বলে জেলা নির্বাচনী আধিকারিক তাঁদের আশ্বাস দিয়েছেন। এছাড়াও মেডিকেল কিট, ডাক্তার ও অ্যাম্বু্লেন্সের ব্যবস্থাও গণনা কেন্দ্রে করা হবে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি করে রাউন্ড শেষ হওয়ার পরই তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের মাধ্যমে তা জানিয়ে দেওয়া হবে। প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্রে ১৬ থেকে ১৮টি করে রাউন্ড হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।