গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল ৭১ হাজার ৭৪৯ ভোট পেয়েছিল। সিপিএম তথা বামফ্রন্ট ৪৩ হাজার ৭২৮ ভোট পেয়েছিল। বিজেপি ৩১ হাজার ৮৬৩টি এবং কংগ্রেস ৩ হাজার ৯৬৬ ভোট পেয়েছিল। লোকসভায় মূল লড়াই হয়েছিল বামফ্রন্টের সঙ্গে। ২৮ হাজার ২১ ভোট তৃণমূল এই বিধানসভা থেকে লিড পেয়েছিল। ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল ৭৬ হাজার ৫৩১ ভোট পেয়েছিল। এই কেন্দ্রে বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে আরএসপি প্রার্থী দিয়েছিল। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট ছিল। বামফ্রন্ট জোট প্রার্থী ৬০ হাজার ৪৩১ ভোট পেয়েছিলেন। বিজেপি ১৪ হাজার ১৭২ ভোট পেয়েছিল। প্রায় ১৬ হাজার ১০০ ভোটে তৃণমূল প্রার্থী জয়ী হয়েছিলেন। বিধানসভা নির্বাচনেও মূল লড়াই হয়েছিল জোট প্রার্থীর সঙ্গে। বিজেপি তৃতীয় হয়েছিল।
স্থানীয় বিধায়ক তাপস রায় বলেন, একসময় এই বিধানসভা সিপিএম তথা বামফ্রন্টের খাসতালুক ছিল। এবার নির্বাচনে তাদের খুব বেশি চোখে পড়ল না। বিজেপির উগ্র জাতীয়তাবোধ, মেকি দেশপ্রেম বাংলার মানুষ মেনে নেবে না। এখানে টিম মমতা কাজ করেছে। এর ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, কাউন্সিলার, বিধায়ক, সংসদ সদস্য সকলে মিলে টিম মমতা। তাই, সকলে যেভাবে এলাকার মানুষের পাশে থেকেছেন, এলাকায় যা কাজ হয়েছে তাতে গত লোকসভার থেকে এবার লিডের মার্জিন আরও বেশি হওয়া দরকার। বরানগর পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক বলেন, সিপিএমের নিচুতলার লোকজন গেরুয়া শিবিরের দিকে চলে যাচ্ছে। তবে, বিজেপির সংগঠন নেই। এলাকায় উন্নয়নের নিরিখে মানুষ আমাদের পক্ষে ভোট দেবে।
বিজেপির কলকাতা উত্তর শহরতলির সাধারণ সম্পাদক চণ্ডীচরণ রায় বলেন, তৃণমূলের মূল প্রতিপক্ষ একমাত্র বিজেপি। মানুষ সেটা বুঝে গিয়েছে। পাড়ায় পাড়ায় তৃণমূলের ছেলেদের দাদাগিরি মানুষ আর মেনে নিতে পারছে না। তারা তৃণমূলের অপশাসন থেকে মুক্তি চাইছে। তাই বিকল্প হিসাবে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য সাধারণ মানুষ জোটবদ্ধ হচ্ছে। সংগঠন দুর্বল বলে বিজেপিকে খাটো করে দেখে লাভ নেই। মানুষ ভোট দিতে পারলে এই বিধানসভায় এবার তৃণমূল নয়, আমরাই লিড পাব। সিপিএম তথা বামফ্রন্ট প্রার্থী নেপালদেব ভট্টাচার্য বলেন, তৃণমূলীরা তো এতদিন বামফ্রন্টের আন্দোলনকে দূরবীন দিয়ে দেখত। ফলে, ওদের দেখতে না পাওয়া নিয়ে আমাদের কিছু যায় আসে না। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, নিচুতলার সিপিএম কর্মীরা কি বিজেপির দিকে গিয়েছে? তিনি বলেন, নিচুতলার সিপিএম নয়, তৃণমূল কাউন্সিলাররা আমাদের কাছে, এবারের ভোটটা বিজেপিকে দেওয়ার জন্য বলছে। ফলে, ওরা নিজেদের ভোট আগে ধরে রাখুক। আর মানুষ এখন তৃণমূল বিরোধী। আমরা দ্বিতীয় স্থানে রয়েছি। ফলে, এবার আমরা ভালো ফল করব।