গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, ভোট ঘোষণার পর থেকেই বিধাননগর কমিশনারেট এলাকায় প্রায় প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গায় নাকা চেকিং করে গাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। সেই নাকা চেকিংয়ে বৃহস্পতিবারের আগে পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৩৮ লক্ষ ২৩ হাজার ৬২০ টাকা উদ্ধার হয়েছিল। যার মধ্যে গত ১২ মে পর্যন্ত ২৯ লক্ষ ৩৭ হাজার ৪৪০ টাকা উদ্ধার হয়েছিল। এরপরে নির্বাচন কমিশন থেকে আরও নজরদারি বাড়াতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই মতো গত রবিবার রাত থেকেই বিভিন্ন এলাকায় আরও কড়া তল্লাশি শুরু করা হয়। পাশাপাশি হোটেল, গেস্ট হাউসেও তল্লাশি করা হয়। রবিবার রাতে সেই তল্লাশি চলাকালীন বাগুইআটিতে তিন লক্ষ টাকা এবং রাজারহাটে ৫ লক্ষ ৮৫ হাজার ১৮০ টাকা উদ্ধার করা হয়। এরপরে বৃহস্পতিবার ফের তল্লাশিতে ৪০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, একজন এ এ ব্লকে এবং অপরজন এ ই ব্লকে থাকে। বড়বাজারে কিছু ব্যবসার সঙ্গে তাদের যোগ রয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, তাদের ঠিকানা এবং ব্যবসার সত্যতা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি এত বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা নিয়ে তারা কোথায় যাচ্ছিল? সেবিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া শুরু হয়েছে। পুলিসের একটি সূত্রের দাবি, এই টাকা হাওলা কারবারের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু, কার টাকা? এবং হাওলার মাধ্যমে কোথায় পাঠানো হচ্ছিল? সেবিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে। গোটা বিষয়টি কমিশন সহ আয়কর দপ্তরকেও জানানো হয়েছে। কমিশনারেটের এক কর্তা জানান, এখনও পর্যন্ত কমিশনারেট এলাকায় ৭৮ লক্ষ ২৩ হাজার ৬২০ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আগামী দু’দিনও আরও তল্লাশি চালানো হবে। পাশাপাশি নাকা চেকিংও চলবে।