পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চণ্ডীতলা ব্লকের গরলগাছা গ্রাম পঞ্চায়েতের একলকি গ্রামের বাসিন্দা আজিজ হালদার একটানা ৩০ বছর ধরে গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য ছিলেন। তিনি দু’বার গরলগাছা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধানও হন। এবারের নির্বাচনে দল তাঁকে পঞ্চায়েত সমিতির টিকিট দিলে জয়ী হন। আজিজসাহেব বলেন, অন্যান্য দিনের মতোই রাত ১১ টা নাগাদ খাওয়া দাওয়া সেরে ঘুমোতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তাঁর দাবি, পাঁচিলের গেটে তালা দিয়ে আসার পরেই একটি বাইক এসে আমার বাড়ির সামনে দাঁড়ায়। তারপরেই পাঁচিল লক্ষ্য করে একটি বোমা মারে। আরও একটি বোমা আমার বাড়ি লক্ষ্য করে মারে। কিন্তু কোনও কারণে সেটি না ফেটে গড়িয়ে গিয়ে গাড়ির তলায় পড়েছিল। এরপরেই দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে এসে দেখি একটি বাইকে করে তিন যুবক পালিয়ে যাচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গেই বিষয়টি চণ্ডীতলা থানা ও দলের নেতৃত্বকে জানাই। খবর পেয়ে রাতেই পুলিস হাজির হয়।
আজিজসাহেব বলেন, লোকসভা নির্বাচনে আমি এই এলাকায় দলের হয়ে প্রচুর কাজ করায় বিজেপির গোঁসা হয়েছিল। ওরা আমাকে বেশ কয়েকবার ধমকিও দিয়েছিল। কিন্তু, তারপরেও আমি একইভাবে দলের কাজ করে যাওয়ায় পরিকল্পনামাফিক আমার বাড়িতে বিজেপি আশ্রিতরা রাতের অন্ধকারে হামলা করেছে। এদিকে হামলার খবর পেয়ে এদিন সকালেই জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায়, গরলগাছা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মনোজ সিং সহ তৃণমূল কর্মীরা আজিজসাহেবের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের ভয়ের কিছু নেই বলে আশ্বস্ত করেন। পাশাপাশি চণ্ডীতলার বিধায়ক স্বাতী খন্দকারও ফোন করে ঘটনার বিস্তারিত জেনে পুলিসকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
যদিও তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে বিজেপি। দলের জেলা সভাপতি সুমন ঘোষ বলেন, পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি থেকে আসা বখরার ভাগবাঁটোয়ারা নিয়ে গণ্ডগোলের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। আর তা আমাদের ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে শাসক দল নিজেদের কোন্দল ধামাচাপা দিতে চাইছে। পুলিস তদন্ত করলেই সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে।