রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, ৯ এপ্রিল রাতে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামীর বিরুদ্ধে সৌরভ পাত্র নামে দশম শ্রেণীর এক ছাত্রকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে তারকেশ্বর বালিগোড়ি (১) পঞ্চায়েতের বাসুদেবপুর গ্রামে। তারকেশ্বরের বাসুদেবপুরের বাসিন্দা অরূপ পাত্রের বাড়িতে ৯ এপ্রিল রাতে ঝড়বৃষ্টিতে অ্যাসবেস্টসের চাল ভেঙে যায়। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বাড়ির চালে পড়ে যায়। বিদ্যুৎ দপ্তরে ফোন করলে যোগাযোগ করতে না পেরে অরূপ পাত্র তারকেশ্বর থানায় গিয়ে ঘটনার কথা জানিয়ে তিনি ওই এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছেন বলে জানান। এরপরেই ট্রান্সফর্মার বন্ধ করে তালা দিয়ে দেন অরূপবাবু।
নিজের বাড়িতে ও এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে দেখে উত্তেজিত হয়ে পড়েন স্থানীয় তৃণমূল নেতা ও বালিগোড়ি পঞ্চায়েত সদস্য কাজল দাসের স্বামী রাজেশ দাস ও দেওর বিশ্বজিৎ দাস। অরূপ পাত্রকে মারধর করতে থাকেন তাঁরা। সেই সময় বাবাকে বাঁচাতে ছুটে আসে দশম শ্রেণীর ছাত্র সৌরভ। তাকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। রাস্তার মধ্যেই পড়ে জ্ঞান হারায় সৌরভ। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে তারকেশ্বর থানায় অভিযোগ জানায় পরিবার। শেষমেশ একপ্রকার চাপে পড়ে পুলিস দুই অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ দাস ও রাজেশ দাসকে গ্রেপ্তার করে। ১০ এপ্রিল রাতে সৌরভ পাত্রের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পরে বাড়িতে ফিরলে সেই সময় উপস্থিত হন আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অপরূপা পোদ্দার ও বিজেপির আরামবাগ জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক গণেশ চক্রবর্তী।
গণেশ চক্রবর্তীর অভিযোগ, ওই রাতে তাঁকে পিয়াসাড়ার একটি শ্মশানে তৃণমূল নেতাকর্মীরা অপরূপা পোদ্দারের নির্দেশে সারারাত মারধর করে। কেড়ে নেওয়া হয় টাকা, মোবাইল। ভেঙে দেওয়া হয় পা। গণেশবাবু বলেন, এরপর থেকেই বারেবারে পুলিসের কাছে আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অপরূপা পোদ্দার সহ বেশ কয়েকজনের নামে অভিযোগ দায়ের করতে গেলে টালবাহানা করতে থাকে পুলিস। সে কারণেই এদিন আমরা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করি। পরে তারকেশ্বর থানার পুলিস অভিযোগ গ্রহণ করে। আমি অপরূপা পোদ্দার সহ নয় জনের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ দায়ের করেছি।