নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: একদিকে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ শাসকদলের তাবড় নেতানেত্রীদের একের পর এক জনসভা। অন্যদিকে, বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহর মেগা রোড শো ঘিরে শহরজুড়ে তৈরি হওয়া উন্মাদনা। শেষ দফার নির্বাচনের আগে মঙ্গলবার রাজ্য রাজনীতির প্রধান দুই যুযুধান প্রতিপক্ষের প্রচারের মাঝে পিছিয়ে থাকল না বাম শিবিরও। এদিন কলকাতা ও সংলগ্ন দুই ২৪ পরগনার কেন্দ্রগুলিতে শীর্ষ বাম নেতৃত্ব রীতিমতো সমাবেশ ও রোড শো-এর মাধ্যমে তাদের প্রার্থীদের হয়ে প্রচার সারল। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, পলিটব্যুরোর সদস্য প্রকাশ কারাত, মহম্মদ সেলিম, রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র, বর্ষীয়ান নেতা বিমান বসু, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী সহ দলের রাজ্য ও কেন্দ্রীয় কমিটির প্রথম সারির নেতারা কার্যত এদিন ঝাঁপিয়ে পড়েন প্রচারে। তাঁদের সঙ্গ দেন ফ্রন্টের শরিক দলের নেতারাও। সমাবেশগুলিতে তাঁদের ভাষণের মূল সুর ছিল একটাই—সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের ফাঁদে পা দেওয়ার জন্য নির্বাচনের শুরু থেকেই চিত্রনাট্য তৈরি করেছে কেন্দ্র ও রাজ্যের শাসকদল। সাধারণ মানুষের স্বার্থের কথা সংসদে তুলে ধরতে বামেরাই হল আসল বিকল্প। তাই পারস্পরিক বিভাজনের পথে না হেঁটে ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক শক্তি হিসেবে বাম প্রার্থীদেরই জয়ী করা উচিত।
এদিন সীতারাম ইয়েচুরি ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী ডাঃ ফুয়াদ হালিমের সমর্থনের জিঞ্জিরাবাজার থেকে বজবজ নিউ সেন্ট্রাল জুটমিল পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে রোড শো করেন। রোড শো শেষে ইয়েচুরি এক জনসভায় ভাষণ দেন। তিনি বলেন, মোদি সরকারের অবসান অনিবার্য। এবার কেন্দ্রে একটি ধর্মনিরপেক্ষ সরকার তৈরি হবেই। আর সেই সরকারকে নিয়ন্ত্রণে বামপন্থীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে। এজন্যই এবার বাংলা থেকে বামপন্থীদের জেতানো আরও বেশি জরুরি। ইয়েচুরি এদিন যাদবপুরে সুকান্ত সেতুর মোড়ে বিকাশ ভট্টাচার্যের সমর্থনে আরও একটি সভায় ভাষণ দেন।
ইয়েচুরির পাশাপাশি এদিন প্রকাশ কারাত দক্ষিণ কলকাতার দলীয় প্রার্থী নন্দিনী মুখোপাধ্যায়ের সমর্থনে বেহালা ও লর্ডস মোড়ে দুটি সমাবেশ করেন। বিমানবাবু মথুরাপুরে সভা করেন দলের প্রার্থীর সমর্থনে। সূর্যবাবুও দুটি সভা করেন উত্তর কলকাতার প্রার্থী কনীনিকা ঘোষের সমর্থনে।