বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এতদিন পর্যন্ত মালদহের জাল নোট কারবারিরাই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে জাল নোট পৌঁছে দিয়ে আসত। পুলিসের নজর এড়াতে এখানকার কারবারিরা একাধিকবার টাকা হাতবদল করত। কিন্তু তাদের সেই কৌশল জেনে গিয়েছেন গোয়েন্দারা। তাই গোয়েন্দাদের একের পর এক অভিযানে ধরা পড়তে শুরু করেছে মালদহে নকল নোটের কারবারে জড়িত ব্যবসায়ী ও এজেন্টরা।
ধরাপাকড়ের হাত থেকে বাঁচতে ভিন রাজ্যের জাল নোট কারবারে যুক্ত ব্যক্তিরা মালদহে এসে টাকা নিয়ে যাচ্ছে। মালদহের কারবারিরাই তাদের ডেকে পাঠাচ্ছে। গোয়েন্দাদের কাছে খবর আসে, চেন্নাইয়ের জাল নোট কারবারিদের আসা-যাওয়া বেড়েছে কলকাতায়। এখান থেকে নকল নোট নিয়ে গিয়ে তারা চেন্নাই সহ দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করছে। এমনকী তাদের সঙ্গে উত্তর ভারতের জাল নোট কারবারিদেরও যোগাযোগ রয়েছে। এরপরই দক্ষিণ ভারতের এই গ্যাংয়ের বিষয়ে খোঁজখবর শুরু হয়। জানা যায়, মণি গোবিন্দন ও ভেলু মাল্লাপন নামে দুই ব্যক্তি এরাজ্যে এসেছে। মালদহ থেকে তারা জাল নোট নিয়ে কলকাতায় আসবে। মালদহের এক জাল নোট কারবারির কাছ থেকে তারা নকল নোট নেওয়ার পরই তাদের নজরবন্দি করে ফেলেন এসটিএফের অফিসাররা। কলকাতায় পৌঁছনো মাত্রই তাদের চ্যালেঞ্জ করা হয়। দুজনের কাছে থাকা ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে মেলে দু’লক্ষ টাকার জাল নোট। সব ক’টি নোটই দু’হাজারের বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
অভিযুক্তদের জেরা করে অফিসাররা জেনেছেন, দক্ষিণ ভারতে জাল নোটের চাহিদা বাড়ছে। সেই কারণে মালদহ থেকে তা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বেশি পরিমাণে। এরাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা দক্ষিণ ভারতীয়দের টার্গেট করেছে তারা। তাদের এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ করে চেন্নাই, কেরল সহ দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় জাল নোট ছড়ানোই উদ্দেশ্য। পাশাপাশি সেখানকার কারবারিরাও এখানে এসে জাল নোট নিয়ে যাচ্ছে। পুলিস জেনেছে, এর আগেও বেশ কয়েকবার দুই অভিযুক্ত মালদহে এসে জাল নোট চেন্নাইতে নিয়ে গিয়েছে। তাদের চক্রে একাধিক যুবক কাজ করছে। এদের কয়েকজনের নাম ধৃতদের কাছ থেকে জেনেছেন অফিসাররা। মালদেহ জাল নোট কারবারে জড়িত একাধিক শীর্ষ কারবারিদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগের বিষয়ে প্রমাণ হাতে এসেছে পুলিসের। এদের নিয়ে খবরাখবর সংগ্রহের কাজ চলছে।