পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মধ্যমগ্রাম শহরের দিগবেড়িয়ায় কাকলি ঘোষদস্তিদারের বাড়ি। সেখানেই তাঁর অফিসঘর। প্রতিদিন শতশত মানুষ নানা প্রয়োজনে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান। বাড়িতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা নেই। সর্বক্ষণের পাহারাদার ‘প্লুটো’ এবং ‘নিমো’। না, এরা কেউ দলের মস্তান নয়। প্লুটো হল—জার্মান শেফার্ড এবং নিমো হল—ল্যাব্রাডর। চেহারায় এই দু’জন ‘রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারে’র চেয়ে কম নয়। এই গলদঘর্ম দিনে নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে যত কষ্টই হোক, বাড়িতে ফিরে কাকলিদেবীর এই দু’জনের সঙ্গে প্রথম দেখা করেন। শুধু ডাক্তার নন, দিগবেড়িয়ার মানুষের কাছে তিনি একজন শিক্ষিকাও। কারণ, এই অঞ্চলের অনেক গরিব ছাত্রছাত্রী অভাবের তাড়নায় পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছিল। তিনি বিনা পয়সায় সকলকে পড়ানোর ব্যবস্থা করেছেন। মাঝে মাঝে নিজেও ক্লাস নেন।
দলীয় কর্মীদের কথায়, ২০০৯ এবং ২০১৪ সালে পর পর দু’বার জয়ী হয়ে তিনি যে উন্নয়ন করেছেন, তার যদি তালিকা তৈরি করা হয় তাহলে তা মধ্যমগ্রাম থেকে দিল্লি পর্যন্ত লম্বা হবে! অনুগতদের দাবি বাড়াবাড়ি মনে হলেও এটা ঠিকই যে, মধ্যমগ্রাম চৌমাথায় যশোর রোডে আন্ডারপাস তৈরি করে হাজার হাজার মানুষের উপকার করেছেন। বারাসত জেলা হাসপাতালকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রূপান্তর করার জন্য প্রচুর পরিশ্রম করেছেন। মেডিক্যাল কলেজের কাজও শুরু হয়েছে। এই হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের জন্য পৃথক ইউএসজি ইউনিটও করেছেন। রেডিওলজিস্টের ছুটি হয়ে গেলেও আপৎকালীন পরিস্থিতিতে যাতে চিকিৎসকেরাই ইউএসজি করতে পারেন, তিনি নিজে চিকিৎসকদের হাতেকলমে প্রশিক্ষণও দিয়েছেন।
দলীয় কর্মীরা বলেন, বারাসতের হাতিপুকুরের আবর্জনার স্তূপ সরিয়ে তিনি অভিনব সিরাজ উদ্যান তৈরি করেছেন। সেখানে টয়ট্রেন চলছে। শিকারার মতো নৌকো চলছে। প্রায় আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন ইতিহাসকে তুলে ধরতে এবং চন্দ্রকেতুগড় ও খনা-মিহিরের ঢিবিকে পর্যটনের আলোয় আনতে দেগঙ্গার বেড়াচাঁপায় চন্দ্রকেতুগড় সংগ্রহশালা তৈরি করেছেন তিনি। এছাড়াও সৌন্দর্যায়ন, রাস্তা, আলো, পানীয় জল, যাত্রী প্রতীক্ষালয় থেকে কমিউনিটি টয়লেট— উন্নয়নের তালিকায় বাদ নেই কিছুই।
ভোট নিয়ে কাকলিদেবী বলেন, অনেক উন্নয়ন করেছি, সেই সঙ্গে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নও। তাই মানুষের ভালবাসা ও পূর্ণ সমর্থনও রয়েছে। জয়ও নিশ্চিত।