পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, দুপুর প্রায় পৌনে একটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। সেই সময় সেক্টর ফাইভের দিকে যাওয়ার বাস ধরার জন্য মোড়ে কয়েকজন যাত্রী দাঁড়িয়ে ছিলেন। আচমকাই মড়মড় করে আওয়াজ পেয়ে তাঁরা একটু সরে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গাছটি পড়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের আরও দাবি, গাছটির আশপাশ দিয়ে প্রচুর কেবলের তার গিয়েছে। গাছটি যখন ভেঙে পড়ছিল, তখন সেটির মাথার অংশ ওই কেবলের তারেই কিছুটা বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় এক ঝটকায় গাছটা পড়ে যায়নি। তাই সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীরা সরে যাওয়ার কিছুটা সুযোগ পেয়ে যান। নাহলে এদিন বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত বলেও অনেকেই মনে করছেন। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে বিধাননগর পুরসভাকে খবর দেওয়া হয়। পুরকর্মীরা গিয়ে গাছ কেটে সেটি সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেন। গাড়ি এবং বাস ব্লকের ভিতরের রাস্তা দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। ফলে করুণাময়ীর ওই অংশে ব্যাপক যানজট হয়ে যায়।
ঝড়-বৃষ্টি না থাকাতেও আচমকাই কীভাবে গাছটি পড়ে গেল? সেবিষয়ে পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কৃষ্ণচূড়া গাছের এমনিতেই মাথার অংশ একটু ভারী হয়। তার মধ্যে বিগত ঝড়ে গাছটি কিছুটা দুর্বল হয়ে গিয়েছিল, সেই কারণেই এদিন আচমকাই সেটি পড়ে গিয়েছে। যদিও স্থানীয়দের দাবি, গাছের চারিদিক কংক্রিট দিয়ে ঘেরা থাকায়, সেটির স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়েছে। তাই বিগত ঝড়ে দুর্বল হওয়ার পর সেটির অবস্থা আর স্বাভাবিক ছিল না। মাটির বাঁধনও আলগা হয়ে গিয়েছিল। তাই এদিন সেটি আচমকাই পড়ে যায়। পুর এলাকায় আরও অন্য গাছগুলি কী অবস্থায় রয়েছে? তা পুরসভার পক্ষ থেকে খতিয়ে দেখার দাবি জানান বাসিন্দারা। সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক কর্তা জানান, এদিন যা ঘটেছে তাতে যে কোনও বড়সড় বিপদ হতে পারত। ভোটের পরই এবিষয়ে পুর এলাকার গাছগুলি অবস্থা কীরকম রয়েছে? তা খতিয়ে দেখার কাজ করা হবে।