বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শেওড়াফুলির শানপুকুর ধার এলাকার বাসিন্দা পেশায় দিনমজুর এক ব্যক্তি নবম শ্রেণীতে পড়া তাঁর একমাত্র মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন। শুক্রবার বিয়ের দিন ঠিক হয়েছিল। তাই বিয়ের দানসামগ্রী কেনাকাটার পাশাপাশি আত্মীয়দের নিমন্ত্রণ থেকে শুরু করে বিয়ের অনুষ্ঠানের সমস্ত জোগাড়যন্ত্র হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে নবম শ্রেণীর ওই বাড়িতে শেওড়াফুলি ফাঁড়ির পুলিস হাজির হয়। আচমকা বাড়িতে পুলিস হাজির হওয়ায় সকলে হকচকিয়ে যায়। পুলিসের কাছে দিনমজুর বাবা জানান, আমাদের জানা ছিল না মেয়ের বয়স আঠারো বছর না হলে বিয়ে দেওয়া যায় না। আমরা তো ধারদেনা করে সবার কাছে টাকাপয়সা নিয়েছি। এখন কী হবে? শেওড়াফুলি ফাঁড়ির ইনচার্জ শুভাশিস দাস পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করেন। এছাড়া অন্যদের সঙ্গে কথা বলে টাকাপয়সা ফেরতের ব্যবস্থা করেন। পুলিস জানিয়েছে, নাবালিকা ও পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বিয়ে বন্ধ করা গিয়েছে। মেয়েটিও স্কুলে যেতে রাজি হয়েছে। এখন থেকে সাবালিকা না হওয়া পর্যন্ত পুলিস মেয়েটির পড়াশুনার ব্যয়ভার বহন করবে।