গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপির হয়ে তিনি মনোনয়ন দিয়েছেন একটি। আর একটি মনোনয়ন জমা দিয়েছেন নির্দল হয়ে। বিজেপি প্রার্থী হিসেবে তিনি যে মনোনয়নটি জমা দিয়েছেন তাতে ‘এ’ এবং ‘বি’ দু’টি ফর্ম জমা দেননি। ওইগুলি জমা দেওয়ার নোটিস দেওয়া হয়েছে তাঁকে। প্রসঙ্গত, ‘এ’ ফর্মটি হচ্ছে দলীয় অনুমোদনের জন্য ও ‘বি’ ফর্মটি হল দলীয় প্রতীকের। অর্থাৎ তাঁর কাছে এখনও পর্যন্ত দলের মনোনয়ন বা প্রতীক কোনওটাই নেই।
বুধবার সন্ধ্যায় অমিয় সরকার সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করে বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে বিজেপি করছি। আমার বাড়ি বসিরহাট লোকসভার হিঙ্গলগঞ্জে। আমি এই লোকসভার ভূমিপুত্র। দলের জেলা সম্পাদকও ছিলাম। তাই নির্বাচন ঘোষণার পর আমি আমাদের দলের রাজ্য সভাপতিকে চিঠি দিয়ে বলেছিলাম, বসিরহাট কেন্দ্র থেকে যেন আমাকে প্রার্থী করা হয়। অথচ, আমাকে প্রার্থী না করে দল বাইরে থেকে একজন প্রার্থী করে দিল। তাই আমি ভূমিপুত্র হিসাবে এদিন বিজেপির হয়েই বসিরহাট কেন্দ্রের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। কিন্তু, দলীয় নেতৃত্ব দলের প্রতীক তো সায়ন্তন বসুকেই দেবে? এ ব্যাপারে তাঁর এক অনুগামী বলেন, পরে কী হবে তা পরেই দেখা যাবে। আপাতত উনি মনোনয়নপত্র জমা করেছেন।
প্রসঙ্গত, সায়ন্তন বসু প্রার্থী হওয়ার পরই তাঁকে বহিরাগত বলে আখ্যা দিয়ে একটি পোস্টারও ঘুরছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে, এদিন অমিয় সরকারের মনোনয়নের পর বিরোধীদের দাবি, বিষয়টি গোষ্ঠী কোন্দলেরই ফল। উল্লেখ্য, গত সোমবার যোগী আদিত্যনাথের জনসভায় বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর হাজির না হওয়ায় জোর জল্পনা তৈরি হয়েছিল। শান্তনু ঠাকুর অসুস্থতার কথা দাবি করলেও বিরোধীরা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ও ভাগবাঁটোয়ারার অভিযোগ তুলেছেন। সেই জল্পনা কাটতে না কাটতেই সায়ন্তন বসুর আগে দলেরই এক নেতার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে ঘিরে শোরগোল শুরু হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসু বলেন, অমিয় সরকার নামে কেউ বিজেপির হয়ে মনোনয়নপত্র জমা করেছে বলে আমার জানা নেই। ‘এ’ ফর্ম ও ‘বি’ ফর্ম আমাদের কাছে আছে। তাই উনি যদি বিজেপির হয়ে জমা করে থাকেন তাহলে এ ফর্ম ও বি ফর্ম দিতে হবে। তা না হলে ওনার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যাবে।