রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
কয়েকদিন আগে পুলিসের কাছে খবর আসে, ঠাকুরপুকুর এলাকায় নিষিদ্ধ মাদকের ব্যবসা চলছে। খোঁজখবর করতে গিয়ে জানা যায়, সরফরাজ আহমেদ নামে এক যুবক এই কারবারের মূল মাথা। তার কাছ থেকে শহরের বিভিন্ন জায়গায় চরস যাচ্ছে। কেউ যাতে তার এই ব্যবসা সম্বন্ধে জানতে না পারে, সেজন্য জিমে ট্রেনার হিসেবে কাজ করছে অভিযুক্ত। তার আড়ালে ফেঁদেছে এই নিষিদ্ধ ব্যবসা। এরপরই তার গতিবিধির উপর নজরদারি শুরু করে পুলিস। মঙ্গলবার ঠাকুরপুকুর এলাকায় আসা মাত্রই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছে থাকা ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় চরস।
ধৃতকে জেরা করে পুলিস জানতে পেরেছে, সে অনেকদিন ধরেই এই কারবার চালাচ্ছে। দক্ষিণ ২৪ পরগণার বিভিন্ন জায়গা থেকে তা আনা হচ্ছে। ফোনে ফোনেই সে গোটা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। জিমে প্রশিক্ষণ দেওয়ার সময় প্রতিদিনই সেখান থেকে কিছুক্ষণের জন্য উধাও হয়ে যেত ওই যুবক। এর ফাঁকে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে চরস সরবরাহ করে আসত। একাধিক ব্যক্তি তার এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। ভালো টাকার কমিশনও পাচ্ছে। এদের মাধ্যমেই এই নিষিদ্ধ মাদক শহরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়াচ্ছে বলে পুলিসের কাছে খবর। যারা এই মাদক কিনত, তাদের কয়েকজনের নামও পুলিসের হাতে এসেছে। তাদের সম্বন্ধে চলছে খোঁজখবর। স্কুল কলেজের পড়ুয়ারা ধৃতের খরিদ্দার ছিল কি না, তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
তবে শহরের বিভিন্ন জায়গায় যেভাবে পরপর নিষিদ্ধ মাদক ধরা পড়ছে, তাতে রীতিমতো উদ্বিগ্ন অফিসাররা। কয়েকদিন আগেই প্রগতি ময়দান থানা এলাকা থেকে কোকেন সহ এক ব্যক্তি গ্রেপ্তার হয় পুলিসের হাতে। তারও আগে শহরের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে বিভিন্ন ধরনের মাদক উদ্ধার হয়। সেই কারণে এই কারবারের মাথায় যারা রয়েছে, তাদেরকে চিহ্নিত করতে চাইছে পুলিস। যাতে বিভিন্ন জায়গায় নিষিদ্ধ মাদক ছড়িয়ে পড়তে না পারে। পাশাপাশি একেবারে শিকড় থেকে এই কারবারকে উচ্ছেদ করা যায়।