কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার পরই অভিযুক্ত পুরী পালিয়ে যায়। সেখান থেকে মালদহে যায়। বিভিন্ন জায়গায় নীরজ পালিয়ে পালিয়ে থাকতে শুরু করে। গোয়েন্দারা সোর্সের মাধ্যমে এগিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে ৬ মে পর্যন্ত পুলিস হেফাজতের নির্দেশ হয়। গোয়েন্দারা অভিযুক্তকে জেরা করে এবং তার অতীতে কোনও অপরাধ সংক্রান্ত ঘটনায় যুক্ত থাকার ইতিহাস ঘাঁটতে গিয়ে জানতে পারেন, বড়তলা, ময়দান, গিরিশ পার্ক সহ একাধিক থানায় নীরজের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ রয়েছে। যার মধ্যে বড়তলা থানা এলাকায় নীরজের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগও রয়েছে। সেই ঘটনায় দশ বছর সাজা খেটে সে জেল থেকে বের হয়। তারপরই আবার অপরাধ করল।
কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা প্রধানের কথায়, আমরা বারবার বলি, বেসরকারি সংস্থার কর্মী বা কোনও বাড়িতে পরিচারক-পরিচারিকা নিয়োগের ক্ষেত্রে যেন পুলিস ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট (পিসিসি) নেন মালিকরা। কিন্তু কেউই নিচ্ছেন না। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই সার্টিফিকেট আবেদনকারীদের হাতে চলে গেলে নিয়োগের ক্ষেত্রেও কোনও অসুবিধা হবে না। যাকে নিয়োগ করা হচ্ছে, তার সম্পর্কেও মালিকপক্ষ জেনে নিতে পারছে। অপরাধ কমানোর জন্য যখন কলকাতা পুলিসের তরফে এই সুবিধা রয়েছে, তারপরেও কেন তা শহরের বাসিন্দারা নেন না, তা বোধগম্য হচ্ছে না বলেই গোয়েন্দারা এদিন বলেন। হেয়ার স্ট্রিট থানার ঘটনায় যে অভিযুক্ত, তার সম্পর্কে যদি পিসিসি নিয়ে জেনে রাখতেন সংস্থার মালকিন, তাহলে এতগুলি টাকা খোয়াতেন না। এদিন গোয়েন্দা প্রধান বলেন, আমরা বারবার বলছি, কাউকে নিয়োগের ক্ষেত্রে পিসিসি অবশ্যই নিন। এতে বিপদ কমবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, পরিচারিকা বা পরিচারকরা বিশ্বাস অর্জন করে টাকা বা গয়না হাতিয়ে চম্পট দিচ্ছে। এদেরকে গ্রেপ্তার করার পর নজরে আসছে, আগেও এদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। যেমন নীরজের ক্ষেত্রে হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর দেখা গিয়েছে, চুরি, কেপমারি, এমনকী খুনের মতোই বড়সড় অভিযোগে জেল খেটেছে সে। এখানেই শেষ নয়, একদা শহরের কুখ্যাত দুষ্কৃতী শেখ বিনোদের সঙ্গেও তার যোগাযোগ ছিল। এই তথ্যগুলি কলকাতা পুলিসের কাছে নথিবদ্ধও রয়েছে। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, ধৃতকে জেরা করে বাকি টাকাগুলিও উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।