গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
কমিশনারেট সূত্রের দাবি, গতবছর আইপিএল চলাকালীন বাগুইআটি থেকে বড়সড় একটি বেটিং চক্রকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিস। তারপর থেকেই বাগুইআটি এলাকার একাধিক ব্যক্তির উপর ধারাবাহিক নজরদারি চালাচ্ছিল বিধাননগর কমিশনারেট এবং কলকাতা পুলিস। সেই সূত্রেই গত সোমবার সন্ধ্যায় বিধাননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দারা জানতে পারেন, বাগুইআটিতে মঙ্গলবার রাতে বেটিংয়ের একটি আসর বসবে। চেন্নাই সুপার কিংস এবং সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ম্যাচের জন্য এই বেটিং হচ্ছিল বলে পুলিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তবে ধৃতরা সরাসরি টাকা নিয়ে কোনও বেটিং করছিল না। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে, ভিন রাজ্য থেকে এই বেটিং চক্রটি চালানো হচ্ছিল। কলকাতায় বাগুইআটিতে বসে ওই আটজন সেই বেটিং চক্রে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
তাঁদের দাবি অনুযায়ী, ভিন রাজ্যে আরও বহু ব্যবসায়ীই এই বেটিংয়ে অংশগ্রহণ করেছিল। কমিশনারেটের এক কর্তা জানান, এবিষয়ে যা তথ্য এখনও পর্যন্ত পাওয়া গিয়েছে তা ভিন রাজ্যের পুলিসকে জানানো হবে। যাতে তারাও এবিষয়ে আরও তদন্ত চালাতে পারে।
পুলিস আরও জানিয়েছে, আবাসনের ওই ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়েছিলেন বাঙ্গুরের রাজু খান্ডেলওয়ালা। তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আরও গ্রেপ্তার করা হয়েছে, পঞ্চজ মারু, পঞ্চজ চাওচারিয়া, রবি গুপ্তা, রাজেশ কুমার, রাজেশ শর্মা, নিশান আগরওয়াল এবং শরৎ সাখুয়া। প্রত্যেকেরই নিজস্ব ব্যবসা রয়েছে। আরও কিছু রোজগারের আশাতেই বেটিংয়ে অংশ নিয়েছিলেন বলে ধৃতদের দাবি।
তবে পুলিস সূত্রের খবর, এদের মধ্যে কয়েকজন ধারাবাহিকভাবে বেটিং চক্রের সঙ্গে যুক্ত। শুধু তাই নয়, তাঁরা বেটিংয়ে অংশগ্রহণ করার পাশাপাশি বেটিংয়ের আসরও বসায় বিভিন্ন সময়। তাই ধৃতদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করে সেবিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে পুলিস। তবে শুধুমাত্র বেটিং খেলা হচ্ছিল, নাকি সংশ্লিষ্ট ম্যাচও ফিক্স হয়েছিল, সেবিষয়ে এখনও স্পষ্ট কোনও তথ্য কমিশনারেটের গোয়েন্দাদের হাতে আসেনি। কমিশনারেটের এক কর্তা জানান, এবিষয়ে ধৃতদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। সেই সঙ্গে যেহেতু এদিনের এই বেটিং চক্রটি মূলত ভিন রাজ্য থেকে পরিচালিত হচ্ছিল, তাই সেখানকার পান্ডাদের ধরা গেলে এবিষয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে। আপাতত ওই আবাসনের ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে প্রায় ২০টি মোবাইল এবং কয়েকটি ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস। সেই সঙ্গে বেটিং চালানোর কিছু নির্দিষ্ট সফটওয়্যার এবং মেশিনও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।